বিতর্কিত পেগাসাস-কাণ্ডে আজ, বুধবার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। ১৩ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তারপর থেকেই স্থগিত রায়দান। নজরদারি-কাণ্ডে সরকারি ভূমিকার সমালোচনা করে শীর্ষ আদালতে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্নার বেঞ্চে সেই মামলাগুলির শুনানি চলে। আজ, সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ রায়দান করতে পারে রামান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
যদিও সেই সময় শীর্ষ আদালত বলেছিল, ‘বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে চায় আদালত। কিন্তু অনেক বিশেষজ্ঞই রাজনৈতিক কারণে কমিটির সদস্য হতে চাইছেন না। তাই এই কমিটি গড়া সময়সাপেক্ষ।‘ আজ, সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয় সেইদিকে তাকিয়ে শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষ। এই বিষয়ে ১২টি পিটিশন দাখিল হয়েছিল। এডিটর্স গিল্ড, সাংবাদিক এন রাম, শশী কুমার, প্রাণজয় গুহ ঠাকুরতা, তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিনহা, শিক্ষাবিদ জগদীপ এস ছোকার-সহ আরও অনেকে মামলা দায়ের করেন স্বাধীন সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবিতে।
এবার দেখার আজকের রায়ে কী পদক্ষেপ নেয় শীর্ষ আদালত। যদিও ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে বলেছে, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বিষয়টির রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। বিরোধী শিবির কিংবা কোনও স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের উপর নজরদারি করার উদ্দেশ্য সরকারের নেই। তবে সেই হলফনামায় কোথাও উল্লেখ ছিল না, কেন্দ্র ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও থেকে আদৌ পেগাসাস সফটওয়ার কিনেছিল কি না। মামলাকারীদের তরফে সেই বিষয়ে আলোকপাত করতে শীর্ষ আদালতকে অনুরোধ করা হয়েছিল।
তবে আদৌ সেই সফটওয়ার দেশের তাবড় ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে তাঁদের ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে কিনা? সেটা জানতেই বেশি আগ্রহী শীর্ষ আদালত। মামলাকারী এবং সরকারপক্ষ, দুই তরফকে এই অবস্থান জানিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন লখিমপুর খেরি মামলা: সাক্ষীদের উপযুক্ত নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
প্রসঙ্গত, ইজরায়েলের এনএসও সংস্থার তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যারকে কাজে লাগিয়ে মোদী সরকারের দুই মন্ত্রী, বিরোধী নেতা-নেত্রী, সাংবিধানিক পদে কর্তব্যরত ব্যক্তি, একাধিক সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী সহ প্রায় ৩০০ জন ভারতীয়র মোবাইল ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে বলে অভিযোগ। বাদল অধিবেশনের আগে যাকে কেন্দ্র করে ঝড় ওঠে দেশের রাজনীতিতে। বাদল অধিবেশনও কার্যত ভণ্ডুল হয় বিরোধীদের হই-হট্টগোলে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন