Advertisment

পেগাসাস হানা: সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রকে ১২১ জন আক্রান্তের কথা বলেছিল হোয়াটসঅ্যাপ

এইসব ব্যক্তিরা এনএসও সংস্থার ‘স্পাইওয়্যার’ (পেগাসাস) দ্বারা যে আক্রান্ত, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এককভাবে এসব নম্বরগুলি যাচাই করে উঠতে পারেনি। তবে জানা গিয়েছে, নম্বরগুলো এখনও পরিবর্তিত হয়নি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
whatsapp, হোয়াটসঅ্যাপ, হোয়াটস অ্যাপ, হোয়াটসঅ্যাপে নদরদারি, whatsapp spying, whatsapp breach, whatsapp security breach, whatsapp india, spying list, whatsapp india spy case target, israeli spyware pegasus, পেগাসাস, ইজরায়েলের স্পাইওয়ার, পেগাসাসের খবর, pegasus spy case india, whatsapp spyware pegasus, pegasus india whatsapp spying targets, indian express bangla news

হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতীকী ছবি।

সেপ্টেম্বর মাসে পেগাসাস আক্রান্তদের বিষয়ে কেন্দ্রকে ফের অবহিত করে হোয়াটসঅ্যাপ। অর্থাৎ প্রথমবার এ সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার ৪ মাস পরে ফের যোগাযোগ করা হয় ফেসবুকের মালিকানাধীন সংস্থাটির পক্ষ থেকে। এ সময় নয়া দিল্লিকে ১২১ জন ব্যক্তির বিষয়ে জানায় সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মটি। এইসব ব্যক্তিরা এনএসও সংস্থার ‘স্পাইওয়্যার’ (পেগাসাস) দ্বারা যে আক্রান্ত, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এককভাবে এসব নম্বরগুলি যাচাই করে উঠতে পারেনি। তবে জানা গিয়েছে, নম্বরগুলো এখনও পরিবর্তিত হয়নি।

Advertisment

উল্লেখ্য, ভারতের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীর উপর নজরদারি চালাতে ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করা হয়েছে বলে খবর সামনে আসে। ইতিমধ্যেই তা স্বীকারও করেছেন হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। নজরদারির তালিকায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন ভারতীয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভারতের অধিকার অন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরকেই নিশানা করা হয়েছে। এছাড়াও ওই তালিকায় রয়েছেন, আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা আইনজীবী, এলগার পরিষদ মামলায় অভিযুক্ত, ভীমা কোরেগাঁও মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবী, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে খবর করা সাংবাদিক।

আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: পেগাসাস স্পাইওয়ার ঠিক কী?

কেন ভারতীয়দেরর গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা হল? হোয়াটসঅ্যাপের থেকে ব্যাখ্যা চায় কেন্দ্র। জবাবও দিয়েছে সংস্থাটি। কিন্তু, সেই ব্যাখ্যায় অসন্তুষ্ট সরকার। গ্রীষ্মে সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে বহুবার বৈঠক হলেও নজরদারি নিয়ে মুখ খোলেননি তাঁরা। তাতেই সরকারের বিরক্তি আরও বেড়েছে বলে সূত্রের খবর। এদিকে হোয়াটস্যাপের দাবি, ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের একাংশের উপর যে নজরদারির চেষ্টা হচ্ছে তা গত মে মাসেই সরকারকে জানিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।

শুক্রবার হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করে, গত মে সাসেই সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভারত ও আন্তর্জাতিকস্তরে জানানো হয়েছিল। ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছানোরও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, সেই সময় হোয়াটসঅ্যাপ একবারেরও জন্যও জানায়নি ভারতীয়দের গোপনীয়তা খর্ব করা হবে। বিজ্ঞপ্তিটিও বিভ্রান্তিমূলক ছিল। সরকারি তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Read the full story in English

national news
Advertisment