উল্লেখ্য, ভারতের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীর উপর নজরদারি চালাতে ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করা হয়েছে বলে খবর সামনে আসে। ইতিমধ্যেই তা স্বীকারও করেছেন হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। নজরদারির তালিকায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন ভারতীয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভারতের অধিকার অন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরকেই নিশানা করা হয়েছে। এছাড়াও ওই তালিকায় রয়েছেন, আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা আইনজীবী, এলগার পরিষদ মামলায় অভিযুক্ত, ভীমা কোরেগাঁও মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবী, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে খবর করা সাংবাদিক।
আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: পেগাসাস স্পাইওয়ার ঠিক কী?
কেন ভারতীয়দেরর গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা হল? হোয়াটসঅ্যাপের থেকে ব্যাখ্যা চায় কেন্দ্র। জবাবও দিয়েছে সংস্থাটি। কিন্তু, সেই ব্যাখ্যায় অসন্তুষ্ট সরকার। গ্রীষ্মে সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে বহুবার বৈঠক হলেও নজরদারি নিয়ে মুখ খোলেননি তাঁরা। তাতেই সরকারের বিরক্তি আরও বেড়েছে বলে সূত্রের খবর। এদিকে হোয়াটস্যাপের দাবি, ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের একাংশের উপর যে নজরদারির চেষ্টা হচ্ছে তা গত মে মাসেই সরকারকে জানিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।
শুক্রবার হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করে, গত মে সাসেই সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভারত ও আন্তর্জাতিকস্তরে জানানো হয়েছিল। ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছানোরও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, সেই সময় হোয়াটসঅ্যাপ একবারেরও জন্যও জানায়নি ভারতীয়দের গোপনীয়তা খর্ব করা হবে। বিজ্ঞপ্তিটিও বিভ্রান্তিমূলক ছিল। সরকারি তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Read the full story in English