ভারত সরকার পেগাসাসের মাধ্যমে বড় বড় সাংবাদিকদের টার্গেট করছে, দাবি প্রতিবেদনে
ফের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। পেগাসাস আবারও সংবাদ শিরোনামে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের একটি প্রতিবেদনে বড় দাবি করেছে। যাতে বলা হয়েছে, ভারত সরকার এখনও পেগাসাসের মাধ্যমে দেশের হাই প্রোফাইল সাংবাদিকদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাচ্ছে। অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে।
মার্কিন সংবাদপত্রের দাবি, ‘দ্য ওয়্যার’ নিউজ পোর্টালের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সিদ্ধার্থ বরদারাজন ও ‘দ্য অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড কোরাপশন রিপোর্টিং প্রোজেক্ট’ (ওসিসিআরপি)-এর দক্ষিণ এশিয়ার সম্পাদক আনন্দ মাঙ্গনালের আইফোনে নজরদারি চালাচ্ছে পেগাসাস। ওয়াশিংটন পোস্টের আরও দাবি, গত কয়েকমাস ধরেই খ্যাতনামা সাংবাদিকদের আইফোনে অ্যাপলের সতর্কবার্তা আসছিল যে রাষ্ট্রের মদতে পেগাসাস স্পাইওয়্যার নজরদারি চালাচ্ছে। তারপরেই বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ইজরায়েলি সফ্টওয়্যার 'পেগাসাস' ব্যবহার করে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিবেদনে কী দাবি করা হয়েছে?
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের যৌথ তদন্তে বলেছে, পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে হাই-প্রোফাইল সাংবাদিকদের টার্গেট করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, "ভারতে সাংবাদিকরা তাদের কাজ করার জন্য অবৈধ নজরদারির হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এই হুমকি সাংবাদিকদের জন্য ইতিমধ্যে কাজের ক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করছে।"
৩১ অক্টোবর, অনেক বিরোধী নেতা তাদের আইফোনগুলিতে একটি সতর্ক বার্তা পেয়েছিলেন। এতে বলা হয়, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় হামলাকারীরা তাঁদের ফোন হ্যাক করার চেষ্টা করছে।
অনেক বিরোধী নেতা এই সতর্কতার স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে মোদী সরকার তাদের ফোন হ্যাক করার চেষ্টা করেছে। সরকার তখন বিষয়টি তদন্ত করার কথা বলেছিল এবং অ্যাপল এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে।
পেগাসাস হল সবচেয়ে উন্নত গুপ্তচরবৃত্তির সফটওয়্যার, যা ইসরায়েলি সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানি এনএসও গ্রুপ তৈরি করেছে। যার মাধ্যমে শুধুমাত্র ফোন নম্বর দিয়ে ফোন হ্যাক করা যেতে পারে। কোম্পানি এই সফ্টওয়্যারটি শুধুমাত্র সরকারের কাছে বিক্রি করে এবং ১০টিরও বেশি দেশের সরকার পেগাসাস ব্যবহার করছে।
২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী এই সফটওয়্যার লাইমলাইটে এসেছিল, যখন এই সফটওয়্যারের সারা বিশ্বের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের উপর গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।