হরিয়ানার নিহত ডেয়ারি কৃষক পেহলি খানের উপর থেকে গবাদি পশু পাচারের মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল আলওয়ারে গণপ্রহারে মৃত্যু হয় তাঁর। মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে তাঁর দুই ছেলে ও এক ট্রাক ড্রাইভারের উপর থেকেও। রাজস্থান হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছে। পেহলু খানকে গোহত্যার জন্য গরু পাচার করার অভিযোগ ছিল।
পঙ্কজ ভাদুড়ির এক বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। পেহলু খানদের বিরুদ্ধে রাজস্থান গবাদি পশু সুরক্ষা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল এবং চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। জানানো হয়েছে, জবাইয়ের উদ্দেশ্যে গরু পাচারের কোনও প্রমাণ মেলেনি। রাজস্থান হাইকোর্টে এ সম্পর্কিত আবেদন করেছিলেন ট্রাক ড্রাইভার খান মহম্মদ এবং পেহলু খানের দুই ছেলে।
৫৫ বছরের পেহলু খান, তাঁর দুই ছেলে এবং অন্যান্যদের ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল গরু নিয়ে যাওয়ার সময়ে একদল গোরক্ষক আলওয়ার জেলার বেহরোরে দাঁড় করায়। তাঁদের মারধর করা হয়। পেহলু খানে চোটের জেরে ৩ এপ্রিল মারা যান। এ বছরের ১৪ অগাস্ট ৬ অভিযুক্তকেই গণপ্রহার মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় আলওয়ার হাইকোর্ট। আদালত বলে রাজস্থান পুলিশের তদন্তে ঘাটতি ছিল এবং তারা প্রভূত অবহেলা করেছে।
২০১৯ সালের মে মাসে পেহলু খানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটে নাম ছিল তাঁর দুই ছেলে এবং খান মহম্মদের। পেহলুর দুই ছেলে ইরশাদ এবং আরিফের বিরুদ্ধে ১৯৫৫ সালের রাজস্থান গবাদি পশু আইনের ৫, ৮ ও ৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। মহম্মদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় ওই আইনের ৬ নং ধারায়।
মৃত পেহলু খানের নামে যে চার্জশিট দেওয়া হয়, তা তৈরি করা হয় গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর, কংগ্রেস সরকার ওই রাজ্যে ক্ষমতায় আসার কয়েকদিন বাদে। এ বছরের ২৯ মে বেহরোরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করা হয়।
রাজস্থান গবাদি পশু আইনের ৫ নং ধারায় জবাইয়ের উদ্দেশ্যে গবাদি পশু নিয়ে যাওয়া বা রফতানি করা নিষিদ্ধ। ওই আইনের ৬ নং ধারায় পরিবহণকারী নিজেও একজন ষড়যন্ত্রী এবং একই শাস্তির যোগ্য। ৮ নং ধারায় এ অপরাধের শাস্তি ও ৯ নং ধারায় গবাদি পশুকে আঘাত করার শাস্তির উল্লেখ করা হয়েছে।