পেহলু খান গণপিটুনি মামলায় সব অভিযুক্ত খালাস, নির্দেশের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যাবে রাজ্য সরকার
নাবালকরা ছাড়াও ভিডিও ও অন্য প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করে। এরা হল বিপিন যাদব, রবীন্দ্র কুমার, কালুরাম, দয়ারাম, যোগেশ কুমার ওরফে ঢোলিয়া এবং ভীম রতি।
নাবালকরা ছাড়াও ভিডিও ও অন্য প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করে। এরা হল বিপিন যাদব, রবীন্দ্র কুমার, কালুরাম, দয়ারাম, যোগেশ কুমার ওরফে ঢোলিয়া এবং ভীম রতি।
পেহলু খান গণপিটুনি মামলায় ৬ অভিযুক্তকেই খালাস করে দিল রাজস্থানের আলওয়ারের জেলা আদালত। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে পেহলুর পরিবারের আইনি সাহায্যদাতা কাসিম খান জানিয়েছেন আদালত আজ পেহলু খান হত্যায় ৬ অভিযুক্তকেই খালাস করে দিয়েছে। আলওয়ার আদালতে এই মামলায় ৬ জনের বিচার চলছিল। গণপিটুনিতে অভিযুক্ত আরও তিনজন নাবালকে বিচার চলছে অন্য আদালতে।
Advertisment
নাবালকরা ছাড়াও ভিডিও ও অন্য প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করে। এরা হল বিপিন যাদব, রবীন্দ্র কুমার, কালুরাম, দয়ারাম, যোগেশ কুমার ওরফে ঢোলিয়া এবং ভীম রতি। এদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ৩২৩, ৩৪১, ৩০২, ৩০৮, ৩৭৯ এবং ৪২৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয় বলে সরকারি আইনজীবী যোগেন্দ্র খতনা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন।
জেলা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে পরিবারের লোকজন উচ্চতর আদালতে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন যোগেন্দ্র খতনা।
২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে জয়পুর-দিল্লি সড়কে জনতা পিটিয়ে খুন করে। পেহলুর সঙ্গে আক্রান্ত হন তাঁর দুই ছেলে ইরশাদ ও আরিফ। ২০১৯ সালের মে মাসে পেহলুর ছেলেদের বিরুদ্ধে এবং খান মহম্মদ নামে একজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট ফাইল করা হয়। গণপিটুনির ঘটনার সময়ে যে পিক আপ ভ্যানে গবাদি পশু নিয়ে আসা হচ্ছিল খান মহম্মদ সেই ভ্যানের মালিক ছিলেন। ইরশাদ ও আরিফের বিরুদ্ধে রাজস্থান গবাদি পশু আইনের আওতায় অভিযুক্ত করা হয়। মহম্মদের বিরুদ্ধেও ওই আইন লাগু করা হয়।
রাজস্থান সরকারের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বরাষ্ট্র) রাজীব স্বরূপ জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের পেহলু খান গণপিটুনি মামলার এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সরকার উচ্চকর আদালতে আপিল করবে।