রাজস্থানে পেহলু খান গণপ্রহার মামলায় দোষী সাব্যস্ত দুই কিশোরকে তিন বছরের জন্য হোমে থাকার নির্দেশ দিল জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। যা সর্বোচ্চ শাস্তি হিসাবেই বিবেচিত। ২০১৭ সালে ঘটনার সময় এই দুই কিশোর নাবালক ছিল। পেহেলু খানকে গণপ্রহারের অভিযোগে দোষী এই দুই যুবকই। বিভাদীর পুলিশ সুপার এই নির্দেশ সম্পর্কে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে নিশ্চিত করেছেন।
২০১৭ সালে ১ এপ্রিল রাজস্থান থেকে গবাদি পশু কিনে পিক আপ ট্রাকে করে হরিয়ানা যাচ্ছিলেন পেহলু খান, ইরশাদ, আরিফ, আজমৎ এবং রফিক। ৮ নং জাতীয় সড়কের ওপর তাঁদের আটকে হামলা চালায় গোরক্ষক বাহিনী। ৫৫ বছর বয়সী ডেয়ারি চাষি পেহলু খানকে গণপ্রহার করার দু'দিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর।
উল্লেখ্য যে, এই মামলায় প্রথমবারের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হল কাউকে। গত বছরের আগস্ট মাসে পেহলু খান গণপিটুনি মামলায় ৬ অভিযুক্তকেই খালাস করে দেয় রাজস্থানের আলওয়ারের জেলা আদালত। গণপিটুনিতে অভিযুক্ত বাকি এক নাবালকে বিচার চলছে আলওয়ারের আদালতে। আদালতের তরফে বলা হয় রাজস্থানের পুলিশের তদন্তে 'গুরুতর ত্রুটি' রয়েছে। আলওয়ারের জেলা আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার রাজস্থান হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে।
বেহরোর থানর সাব ইন্সপেক্টরের কথা অনুশারে, ভিডিও ক্লিপ দেখেই ৬ অভিযুক্ততে বেকসুর খালাস করা হয়েছিল। কিন্তু, সেই ভিডিও ক্লিপ দেখেই দিউ নাবালককে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ও সাজা ঘোষণা হয়েছে। গত আগস্টের রায়ের সঙ্গে এখানেই পার্থক্য রয়েছে। যে ভিডিও দেখে ৬ অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হল তার কোনও রেকর্ড রাখা হয়নি। বিচারকরাও যাতে স্তম্ভিত হয়ে যান।
Read the full story in English