পেহলু খান গণপ্রহারে হত্যা মামলার মূল সাক্ষীদের উপর গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার তাঁরা যখন মামলার সাক্ষী দিতে যাচ্ছিলেন তখন ৮ নং জাতীয় সড়কের উপর এ ঘটনা ঘটে। সাক্ষীদের মধ্যে পেহলু খানের দুই ছেলেও ছিলেন।
পুলিশ এ ঘটনার জেরে এফআইআর দায়ের করে জানিয়েছে, ভবিষ্যতে মামলায় হাজিরা দেওয়ার সময়ে তাঁদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হবে। তবে পেহলু খানের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, তাঁরা বেহরোর থেকে মামলা সরিয়ে আলওয়ারে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করবেন।
আরও পড়ুন, অ্যাপেলের সেলস ম্যানেজারকে গুলি, এখনও সব প্রশ্নের উত্তর মিলছে না
পেহলু কানের দুই ছেলে ইরশাদ ও আরিফের আইনজীবী আসাদ হায়াত সানডে এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, তিনি যে যখন গাড়ি করে যাচ্ছিলেন, তখন একটি নম্বর প্লেটহীন এসইউভি জোর করে তাঁকে থামানোর চেষ্টা করে। ‘‘গাড়িতে আমি ছাড়াও ছিলি দুই সাশ্রী আজমৎ ও রফিক, পেহলু খানের দুই ছেলে ইরশাদ ও আরিফ, এবং গাড়ির চালক আমজাদ। আমরা পেহলু গণপ্রহার মামলার বয়ান দেওয়ার জন্য বেহরোর যাচ্ছিলাম। কিন্তু নিমরানা ছাড়ানোর পরেই একটি কালো রঙের নম্বর প্লেটহীন স্করপিও ওভারটেক করে গিয়ে আমাদের থামানোর চেষ্টা করে।
পেহলুর ছেলে ইরশাদ জানিয়েছেন, ‘‘গাড়িটা আমাদের কাছে চলে এসেছিল আর ওই গাড়ির ভেতর থেকে কিছু লোক হাত নেড়ে আমাদের গাড়ি থামাতে বলছিল। গাড়িটার কোনও নাম্বার প্লেট ছিল না বলে আমরা দাঁড়াইনি। তখন গাড়িটা আরও কাছে চলে আসে এবং গাড়ির লোকগুলো গালি দিয়ে আমাদের গাড়ি থামাতে বলে। তারপর আমাদের ওভারটেক করে গিয়ে গুলি চালায়।’’
আলওয়ারের পুলিশ সুপার রাজেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, পুলিশের কাছে অভিযোগের পর এ ঘটনায় নিমরানা থানায় এফআইআর দাখিল করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয়ে ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ৩০৭ ও ৫০৭ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এফআইআর দায়েরের পর পেহলু খানের পরিবার ও সাক্ষীদের পুলিশ প্রহরায় রাজস্থান সীমানা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়। যেখানে গুলি চলেছে তার ৮ কিলোমিটার দূরেই পেহল খানকে পিটিয়ে মারা হয়েছিল।
গত বছর ১ এপ্রিল রাজস্থান থেকে গবাদি পশু কিনে পিক আপ ট্রাকে করে হরিয়ানা যাচ্ছিলেন পেহলু খান, ইরশাদ, আরিফ, আজমৎ এবং রফিক। ৮ নং জায়তীয় সড়কের ওপর তাঁদের আটকে হামলা চালায় গোরক্ষক বাহিনী। ৫৫ বছর বয়সী ডেয়ারি চাষি পেহলু খান দু দিন পর চোট-আঘাতের জন্য মারা যান।