সন্ত্রাসবাদ ইস্য়ুতে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পাকিস্তানকে তুলোধনা করল ভারত। ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক হামলা ও ২০০৮ সালের মুম্বইয়ে জঙ্গি হানা-সহ একাধিক জঙ্গি হামলার জুতসই প্রমাণ পেশ করার পরও পাকিস্তান কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে সোচ্চার হল নয়া দিল্লি। এধরের জঘন্য়তম অপরাধের অপরাধীদের নিষিদ্ধ করেছে রাষ্ট্রসংঘ, অথচ তারাই সে দেশের 'আতিথেয়তা'য় রয়েছে বলে ইমরান খান সরকারের দিকে আঙুল তুলেছে ভারত।
বৃহস্পতিবার ওয়েবিনারে কাউন্টার-টেরোরিজম উইকে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন মহাবীর সিঙভি। তিনি বলেছেন, সমবেত প্রচেষ্টায় মানবাধিকার রক্ষার একটা উপলক্ষ এটা। কিন্তু, সীমান্ত সন্ত্রাসবাদে মদত দিচ্ছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘর কে, সেটা গোটা বিশ্ব বুঝতে পেরেছে। অথচ সেই পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে জঘন্য় অভিযোগ করছে। সিঙভি আরও বলেছেন, ভারত-সহ গোটা বিশ্ব যখন মানবাধিকার রক্ষায় পদক্ষেপ করছে, তখন পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে রাজনীতি হিসেবে ব্য়বহার করছে।
আরও পড়ুন: মোদীর হাতে এশিয়ার বৃহত্তম সৌরবিদ্য়ুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন মধ্য়প্রদেশে
অন্য়দিকে, জম্মু-কাশ্মীর ইস্য়ুতে পাকিস্তানের 'নাক গলানো' মনোভাব নিয়েও সরব হয়েছে ভারত। এ প্রসঙ্গে সিঙভি বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য় অংশ হিসেবেই রয়েছে এবং থাকবে। সেদিকে পাকিস্তানের না নজর দেওয়াই শ্রেয়। ভারতীয় গণতন্ত্রের উপরই জম্মু-কাশ্মীরবাসীর আস্থা রয়েছে বলেও মন্তব্য় করেছেন সিঙভি।
পাকিস্তানকে বিঁধে সিঙভি আরও বলেছেন, ''যে দেশের মানুষ ও সংখ্য়ালঘুরা গণতন্ত্র ভোগ করেন না, সে দেশের থেকে মানবাধিকারের পাঠ শেখার দরকার নেই বিশ্বের''। তাঁর কথায়, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশ ও তার নেতাদের বিরুদ্ধে বিষ প্রয়োগের আগে নিজের ঘরের দিকে নজর দিক পাকিস্তান।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন