বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা, ভয়ঙ্কর অভিযোগ কেন্দ্রের ২ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। কুরুক্ষেত্র জেলা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আশু কুমার জৈন অভিযোগ করেছেন একটি চেক-বাউন্সের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে বারবার মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব পরিচয়ে তাঁর নম্বরে ফোন আসতে থাকে এবং তাঁকে একপক্ষের হয়ে রায় দানে বারবার তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করেন।
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, মামলাটি যাতে দীর্ঘ সময় ধরে চলেও তার জন্যও বিচারকের ওপর নানান ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হয়। এই বিষয়ে একাধিক মোবাইল নম্বর থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নামে বারবার ফোন আসতে থাকে তাঁর কাছে। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরও বলেছেন যে ২৮ শে জুন, তাঁর কাছে এই মামলা নিয়ে একটি ফোন আসে, ফোনের ওপ্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব পরিচয় দেন। সেই সঙ্গে মামলাটি দীর্ঘ সময় মুলতবি করার অনুরোধ করেন তিনি।
বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে কোনভাবেই আপোস করা হবে না। পাশাপাশি এই মামলায় আপীলকারীদের সতর্ক করে তিনি বলেছেন, "ভবিষ্যতে এই ধরনের চাপ সৃষ্টি করা হলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে"। আদেশের অনুলিপি তিনি ইতিমধ্যে জেলা ও দায়রা জজের কাছে পাঠিয়েছেন। আদেশে বলা হয়েছে, "আবেদনকারীরা বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নামে বারবার ফোন করে এই মামলা প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন যাতে এই আদালতে মামলাটি দীর্ঘয়িত করে”।
আদেশে আরও বলা হয়েছে ১লা জুলাই তিনি তাঁর মোবাইলে আরও একটি নম্বর থেকে ফোন পান যেখানে ফোনের ওপ্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব পরিচয়ে মামলাটি প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন “বিচারকদের এভাবে কোন মামলায় প্রভাবিত করার কোন অভ্যাস আমাদের নেই, এর সঙ্গে আমার বা আমার কার্যালয়ের কোন সম্পর্ক নেই।”অন্যদিকে কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রীও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দফতর থেকে জানান হয়েছে, “ ফোনে এক মহিলা কর্মীর কন্ঠস্বরের উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু মন্ত্রীর দফতরে কোন মহিলা কর্মী নেই”।