মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে লাহৌর হাইকোর্টে গেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ। পাক সংবাদমাধ্যম ডন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে জরুরি পরিস্থিতি জারির অভিযোগে মুশারফকে মৃত্যুদণ্ডের সাজার নির্দেশ দিয়েছিল পাকিস্তানের বিশেষ আদালত।
Advertisment
পাক সংবাদমাধ্যম ডন সূত্রে জানা যাচ্ছে, মুশারফের হয়ে ৮৬ পাতার পিটিশন ফাইল করেছেন আইনজীবী আজহার সিদ্দিকি। নতুন বছরের ৯ জানুয়ারি বিচারপতি মাজাহির আলি আকবর নকভির এজলাসে এ মামলার শুনানি হবে। পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘বিশেষ আদালতের রায়ে অসঙ্গতি রয়েছে’’। একইসঙ্গে পিটিশনে বলা হয়েছে, অত্যন্ত তাড়াহুড়ো করে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে।
আপাতত চিকিৎসার জন্য দুবাইতে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ছিলেন পারভেজ মুশারফ। ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন মুশারফ। সেই সময়কালেই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি-সহ বেশ কয়েকজন বিচারপতিকে আটক করা হয়েছিল।
প্রায় ৪২দিন পাকিস্তানে সেই সময় জরুরি অবস্থা জারি ছিল। রাষ্ট্রপতির বরখাস্তের দাবিতে বিরোধী শিবির সোচ্চার হয়। নাওয়াজ শরিফ মামলা করেন মুশারফের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে পদত্যাগ করেন মুশারফ। ২০০৯ সালে পাক সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় দেশে জরুরি আবস্থা জারি ছিল অসাংবিধানিক। কেন রাষ্ট্রপতি হিসাবে জরুরি অবস্থা জারির পদক্ষেপ করেছিলেন পারভেজ মুশারফ? আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য সুপ্রিম কোর্ট মুশারফকে তলব করলে দেশ ছাড়েন তিনি। ২০১৩ সালে পাক সর্বোচ্চ আদালত মুশারফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে সম্মতি দেয়।
Read the full story in English