পাকিস্তানের এক মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমপক্ষে ২৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহতর সংখ্যা বহু। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছে প্রশাসন। পাকিস্তান প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই মসজিদটি সেদেশের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের শহর পেশোয়ারে। বিস্ফোরণের সময় মসজিদে ব্যাপক ভিড় ছিল।
দুপুরের প্রার্থনার জন্য মসজিদে জড় হয়েছিলেন প্রার্থনাকারীরা। আর, সেই সুযোগ নিয়েছে হামলাকারী। তারা সংখ্যায় এক না-একাধিক ছিল, জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। আহত প্রার্থনাকারীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আবার কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
তদন্তকারীদের একাংশের আবার দাবি, হামলাকারীদের লক্ষ্য মসজিদ ছিল না। ছিল, পুলিশের কার্যালয়। পেশোয়ার পুলিশের প্রধান ইজাজ খান সাংবাদিকদের কাছে এমনটাই দাবি করেছেন। তিনি বলেন, 'প্রদেশ পুলিশের সদর কার্যালয়ের চত্বরে এই মসজিদ। এই কার্যালয়েই রয়েছে সন্ত্রাসদমন শাখার মূল কেন্দ্র। সেই কারণে হামলা চালানো হয়েছে।'
সম্প্রতি, পাক তালিবান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান চালিয়েছে পাকিস্তানের পুলিশ ও সামরিক বাহিনী। সেই বদলা নিতে পাক তালিবান জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়েছে। এই মসজিদে যাতায়াতকারী অনেকেই পেশোয়ারের পুলিশ ও সন্ত্রাসদমন বিভাগে কর্মরত। তাই, পেশোয়ার পুলিশের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন- ‘মহাত্মা’র হত্যাকারী: জানেন কি কীভাবে চলেছিল নাথুরাম গডসের বিচারপর্ব?
প্রাথমিক তদন্তের পর মসজিদের মধ্যে বিস্ফোরকের সন্ধান মিলেছে। বিস্ফোরণের জেরে মসজিদের একটি দেওয়ালও ধসে পড়েছে। সেকথা মাথায় রেখেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। তবে, পাকিস্তান পুলিশ পাক তালিবানকে এই হামলায় জড়িত থাকার ঘটনায় সন্দেহ করলেও কোনও জঙ্গি সংগঠন এখনও হামলার দায় স্বীকার করেনি।
অন্যতম তদন্তকারী আধিকারিক সিকান্দার খান জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের সময় মসজিদের মধ্যে অন্তত ২৬০ জন ছিল। তিনি বলেন, 'বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে মসজিদের একটি দেওয়াল ধসে পড়ে। আর, দেওয়াল ধসেও বহু লোক আহত হয়েছেন।'
Read full story in English