এখনও পর্যন্ত ফাইজার এবং বায়োএনটেক যে তথ্য প্রকাশ করেছে সেটি অনুযায়ী এই মাসের শেষের দিকেই জরুরিকালীন অনুমোদন চাইতে পারে তাঁরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে হারে ফের করোনা দাপট বেড়েছে সেই দিক থেকে এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।
টিকা দেওয়ার নিয়ম অনুসারে কোনও রোগীকে তিন সপ্তাহের মধ্যে দুটি টিকা নিতে হবে তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা মজুত করতে হবে যাতে ডোজ সম্পূর্ণ হয়। পাশাপাশি ভ্যাকসিন সরবরাহ ক্ষেত্রটিও গুরুত্বপূর্ণ। এখনও পর্যন্ত ট্রায়ালে আশাব্যঞ্জক ফলাফল দেখিয়েছে ফাইজার। তবে বেশ কিছু প্রশ্নও থেকে যাচ্ছে। যেমন- এই ভ্যাকসিন কি সংক্রমতা রুখতে পারছে? যাঁদের কোভিডের উপসর্গ রয়েছে এই ভ্যাকসিন নিলে কি ভাইরাস সংক্রমিত করবেন না তাঁরা? বয়স্কদের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর এই ভ্যাকসিন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সব উত্তর পেতে পেতে কয়েক মাস এমনকী কয়েক বছরও লেগে যেতে পারে। তবে একটি প্রয়োজনীয় প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যেমন, এই ভ্যাকসিন মানবদেহে কতদিন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে? ফাইজার ভ্যাকসিনের আশাপ্রদ ফলাফলের জেরে বিশ্বের শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ বেড়েছে। করোনা রুখতে তাদের তৈরি ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকরী বলে এদিন জানিয়েছে ওই সংস্থা।
ফাইজার ও জার্মানের বায়োএনটেক যৌথভাবে করোনার প্রতিষেধক তৈরি করছে। করোনা ভ্য়াকসিন তৈরিতে ক্লিনিকাল ট্রায়ালে এই প্রথম কোনও সংস্থা এত বড় মাপের সাফল্যের মুখ দেখল। আমেরিকা অনুমোদন দিলেই প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু সংখ্যক ডোজের ভ্যাকসিন তৈরি করবে সংস্থা।
দ্য ইন্ডিইয়ান এক্সপ্রেসকে ফাইজার সংস্থার মুখপাত্র বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমাদের এই কোভিড-১৯ প্রতিরোধক ভ্যাকসিন -৭৫ ডিগ্রিতে স্টোর করতে হবে। এর অর্থ হল লক্ষ লক্ষ ডোজের জন্য আরও বাড়াতে হবে ক্যাপাসিটি। যেখানের তাপমাত্রা থাকবে -৯০ থেকে -৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। এখনও এত বিপুল পরিমাণ ক্যাপাসিটি কোনও দেশেরই নেই।”
এদিকে, ভ্যাকসিন সায়েন্টিস্ট ডা: গগনদীপ কাং বলেন, “এই ভ্যাকসিনের দাম অনেক হবে। কারণ এই ভ্যাকসিন মজুত করা এবং সরবরাহ করা সহজ বিষয় নয়।”
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন