করোনা দূরীকরণে আরও আশা দেখাচ্ছে ফাইজার ভ্য়াকসিন। তাদের তৈরি করোনা টিকা ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকরী বলে আগেই জানানো হয়েছিল। বুধবার ওই সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, ট্রায়াল শেষে দেখা গিয়েছে, তাদের তৈরি প্রতিষেধক ৯৫ শতাংশ কার্যকরী। কয়েকদিনের মধ্য়েই জরুরি ভিত্তিতে মার্কিন অনুমোদনের জন্য় আবেদন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ফাইজার ও জার্মানের বায়োএনটেক যৌথভাবে করোনার সম্ভাব্য় প্রতিষেধক তৈরি করছে। করোনা ভ্য়াকসিন তৈরিতে ক্লিনিক্য়াল ট্রায়ালে এই প্রথম কোনও সংস্থা এত বড় মাপের সাফল্য়ের মুখ দেখল বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সব মাস্ক সুরক্ষা দিচ্ছে না, উৎসব মরসুমে বাড়ছে অ্যালার্জির প্রকোপ
এর আগে, সাফল্য় প্রসঙ্গে ফাইজারের চেয়ারম্য়ান ও চিফ এগজিকিউটিভ অ্য়ালবার্ট বুর্লা এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, ‘‘বিজ্ঞান ও মানবতার জন্য় আজ মহান দিন। এমন সময় ভ্য়াকসিন তৈরির কর্মসূচিতে আমরা সবচেয়ে কঠিন মাইলস্টোনে পৌঁছোচ্ছি, যখন বিশ্বের এটা খুব দরকার…’’। ফাইজারের অন্য়তম শীর্ষ বিজ্ঞানী বিল গ্রুবারের কথায়, ‘‘এটা জনস্বাস্থ্য়ের জন্য়ও বড় দিন’’।
অন্য়দিকে, তাদের তৈরি করোনা ভ্য়াকসিন ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে মডার্না। তাদের তৈরি ভ্য়াকসিনে আশার আলো দেখাচ্ছে বলে সোমবার জানিয়েছে মডার্না।
প্রসঙ্গত, একবছর পরও এখনও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার দাপট চলছে। এই প্রেক্ষাপটে করোনা নির্মূল করতে সকলেই ভ্য়াকসিনের দিকে তাকিয়ে। ভ্য়াকসিন তৈরিতে এমন সাফল্য় আশাল আলো জাগালো বলেই মনে করা হচ্ছে।
Read the full story in English