Advertisment

আরও কঠোর প্রশাসন! কাশির সিরাপ তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গড়ল কেন্দ্র

WHO-এর সতর্কতার পরই উৎপাদন বন্ধের পাশাপাশি, কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে মেইডেন ফার্মাকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
হারিয়ানা। maiden pharma

ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের কর্মকর্তারা সংস্থা পরিদর্শন করে বেশ কিছু ত্রুটি লক্ষ্য করেন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক বুধবার একটি চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটির কাজ হবে হরিয়ানার কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অভিযোগের তদন্ত করা। কাশির সিরাপ তৈরিতে কোনরকম অনিয়ম হয়েছিল কিনা তাও বিশদে খতিয়ে দেখবে কমিটির সদস্যরা। WHO-এর সতর্কতার পরই সক্রিয় প্রশাসন, উৎপাদন বন্ধের পাশাপাশি, কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে মেইডেন ফার্মাকে।  সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের কর্মকর্তারা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অভিযোগের পর মেইডেন ফার্মাতে পরিদর্শন করে বেশ কিছু ত্রুটি লক্ষ্য করেন। আর সেই রিপোর্ট সামনে আসতেই তড়িঘড়ি হরিয়ানা সরকার মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড-এ কাশির সিরাপ উৎপাদন নিষিদ্ধ করেছে।

Advertisment

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) র‍্যাডারে ভারতে তৈরি চারটি কাশির সিরাপ! এই সিরাপগুলি ব্যবহারে ইতিমধ্যেই একটি সতর্কতা জারি করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। কেন এই সতর্কতা? WHO জানিয়েছে এই সিরাপগুলির মধ্যে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পাওয়া গেছে, যা বিষাক্ত এবং সম্ভাব্য মারাত্মক। দিন কয়েক আগেই আফ্রিকায় ৬৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়। তারপরই এই কাশির সিরাপ ব্যবহারে সতর্কতা জারি করে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। আর এর পরেই মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের তরফেও একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করা হয়। যাতে সংস্থা এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলে, সকল প্রকার গাইড লাইন মেনেই সংস্থা ওষুধ প্রস্তুত করে। এদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের কর্মকর্তারা সংস্থা পরিদর্শন করে বেশ কিছু ত্রুটি লক্ষ্য করেন। আর এরপরই উৎপাদন সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে মেইডেন ফার্মাকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোরও নোটিস দেওয়া হয়েছে। হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ জানিয়েছেন, ওষুধ কোম্পানির নমুনা কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এখনও রিপোর্ট আসেনি, তার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাত দিনের মধ্যে জবাব না দিলে কোম্পানির লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: < ‘হেঁশেল’ চালাচ্ছেন অরিজিৎ সিং! মাত্র ৩০ টাকায় ভরপেট খান >

যদিও এই কাশির সিরাপ ভারতের কোথাও বিক্রি হয়নি এক বিবৃতি ইতিমধ্যেই জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে, “কোম্পানি এই সিরাপগুলি তৈরি করেছে এবং শুধুমাত্র গাম্বিয়াতে রপ্তানি করেছে। গাম্বিয়াতে রপ্তানি করা কাশির সিরাপ ভারতের কোথাও বিক্রি বা বিতরণ করা হয় না। কোম্পানি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই রিপোর্ট আসবে। তার ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে”।

ডাব্লুএইচও বলেছে, “গাম্বিয়াতে যে ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে তার সঙ্গে সরাসরি এই কাশির সিরাপের যোগসূত্রের সম্ভাবনা রয়েছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে”। মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ভারতে তৈরি চারটি কাশির সিরাপ নিয়ে সাবধানতা জারি করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। এই চারটি সিরাপ হল প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কোফ্যাক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, ম্যাকফ বেবি কফ সিরাপ এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ। এই সমস্ত সিরাপগুলি হরিয়ানার মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের তৈরি। WHO-এর সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে যে চারটি পণ্যের প্রতিটির নমুনার বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, এই সিরাপগুলিতে ক্ষতিকারক ডায়েথিলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন রয়েছে। যেগুলো সেবন করা মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

WHO health Ministry
Advertisment