অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করা 'কোভিশিল্ড' ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হচ্ছে ভারতে। ভারতের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া চলতি সপ্তাহেই এই ট্রায়াল প্রক্রিয়া শুরু করবে। মানব শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে কোভিশিল্ড প্রয়োগ করতে তিন-চার জায়গা স্থির করা হয়েছে।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে অক্সফোর্ডের অন্তর্গত জেনার ইনস্টিটিউট। ভ্যাকসিনের সূত্রে সহায়তা করেছে ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। পরবর্তীকালে, স্বল্প ও মধ্য আয় করা দেশগুলির জন্য ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে ভারতীয় সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
চলতি মাসের গোড়ায় ভারতে অ্যাডভান্সড ট্রায়াল শুরু করায় সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে দেশের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনেরাল। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ওই ট্রায়াল হবে অবজার্ভার ব্লাইন্ড, র্যান্ডম তবে নিয়ন্ত্রিত। অর্থাৎ, যাঁদের শরীরে এই ভ্যাকসিনের প্রক্রিয়া চালানো হবে, তাঁদের আগাম বাছাই করা হবে না। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের সুরক্ষা ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
এই ট্রায়ালের জন্য ১৪ জায়গা বেছে নিয়েছে আইসিএমআর। এর মধ্যে অনুমোদন পেয়েছে মুম্বইয়ের দু'টি সরকারি হাসপাতাল- পারেলের কিং এডোয়ার্ড মেমোরিয়াল এবং মুম্বই সন্ট্রালের বিওয়াইএল নায়ার হাসপাতাল।
পুনের ভারতী বিদ্যাপীঠ মেডিক্যাল কলেজের ডিরেক্টর ডাঃ সঞ্জয় লালওয়ানি বলেছেন, 'সরকারি নথি এলেই ট্রায়ালের কাজ শুরু হয়ে যাবে। আমরা প্রস্তুত। সোমবার ভ্যাকসিন পৌঁছালে মঙ্গলবার থেকেই ট্রায়াল প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাবে।' ট্রায়ালে অংশ নিতে বহু মানুষ আগ্রহপ্রকাশ করলেও ৩৫০ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গির ক্লিনিক্যাল ডেভালপমেন্ট সেন্টারের সিইও প্রতীক দিভাতে। এই দুই জায়গা ছাড়াও ট্রায়াল হবে পুনের কেইএম হাসপাতাল ও বিজে মেডিক্যাল কলেজে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন