বড়সড় ভূমিকম্পে শনিবার কেঁপে উঠল ফিলিপাইনসের মিন্দানাও। কম্পনের মাত্রা ৭.৫। ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) এই সতর্কবার্তা জারি করেছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ৬৩ কিলোমিটার (৩৯ মাইল) গভীরে। মার্কিন সুনামি সতর্কীকরণ ব্যবস্থা ওই ভূমিকম্পের পর এই সুনামি সতর্কবার্তা জারি করেছে।
Advertisment
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, সুনামি শীঘ্রই ফিলিপাইনস এবং জাপানে আঘাত হানবে। ফিলিপাইনস সিসমোলজি এজেন্সি, ফিভোল্কস (PHIVOLCS) জানিয়েছে যে সুনামির ঢেউ ফিলিপাইনসের স্থানীয় সময় মধ্যরাতের মধ্যে আঘাত হানতে পারে (১৬০০ জিএমটি) এবং তার তাণ্ডব কয়েক ঘণ্টা ধরে চলতে পারে।
ফিভোল্কস জানিয়েছে, 'পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত সমুদ্র তীর ফাঁকা করে দিতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে সুরিগাও দেল সুর এবং দাভাও ওরিয়েন্টাল প্রদেশের উপকূলের কাছাকাছি বসবাসকারী লোকদেরকে সরে যেতে বলা হয়েছে। সমুদ্রের কাছাকাছি যেন কোনও মৎস্যজীবী বা তাঁদের নৌকো না-যায়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।' ফিভোল্কস জানিয়েছে, কম্পন থেকেই বিরাট ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। একইসঙ্গে আফটারশক নিয়েও উদ্বেগ ছিল। তার বদলে, এখন সুনামির আশঙ্কা ঘিরে ধরেছে।
জাপানি সম্প্রচারকারী এনএইচকে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে যে এক মিটার (৩ ফুট) উচ্চতার সুনামি ঢেউ জাপানের পশ্চিম উপকূলে পৌঁছতে পারে। রবিবার (১৬৩০ জিএমটি) বেলা দেড়টা নাগাদ। মার্কিন ভৌগোলিক এবং সুনামি সতর্কীকরণ ব্যবস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি হয়েছে ৭.৬ মাত্রার। আর, তা ১০টা ৩৭ মিনিটে অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের নিকটবর্তী উপকূলীয় শহর হিনাতুয়ানের স্থানীয় পুলিশ প্রধান রেমার্ক জেন্টালান বলেছেন, ভূমিকম্পের পর থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তবে কম্পনের জেরে এখনও কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। এমনিতে ফিলিপাইনস ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল বা 'রিং অফ ফায়ার'-এ অবস্থিত। এই 'রিং অফ ফায়ার' হল, প্রশান্ত মহাসাগরকে ঘিরে আগ্নেয়গিরির একটি বেল্ট। যার জেরে ফিলিপাইনস ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল বলে পরিচিত।