এক ইউটিউবার সমেত আট জন থানায় অফিসারের টেবিলের কাছে দাঁড়িয়ে। কোনও সিনেমা না। মধ্যপ্রদেশের সিদ্ধি জেলার কোতোয়ালি থানার এই ছবি। যা ভাইরাল হতেই স্তম্ভিত নেটিজেনরা। চাপে পড়ে গিয়েছে পুলিশও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ছবির ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাপারে সিদ্ধির পুলিশ সুপার মুকেশ শ্রীবাস্তব, দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, 'এসডিপিও গায়ত্রী তিওয়ারি ব্যাপারটার তদন্ত করছেন। যে দোষী তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে ধরনের অপরাধই করুক না-কেন, কারও পোশাক খুলে নেওয়া যায় না। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে আমরা থানার ইনস্পেক্টর মনোজ সোনি আর ডিউটি অফিসার অভিষেক সিংকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে পাঠিয়েছি। সিং ঘটনার সময় যেহেতু থানায় ছিল, তাই ওঁকেও সরানো হয়েছে।'
ভাইরাল হওয়া ছবিটা ২ এপ্রিল তোলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবির সঙ্গে একটা বার্তাও ছড়িয়েছে, 'বিজেপি বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লার বিরুদ্ধে খবর করায় ইউটিউব সাংবাদিকের পোশাক খুলে নেওয়া হল।' এই ব্যাপারে পুলিশ সুপার জানান, কোতোয়ালি থানার পুলিশ নীরজ কুন্দর নামে এক থিয়েটার শিল্পীকে ২ এপ্রিল গ্রেফতার করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি বিধায়ক ও তাঁর পরিবারকে বদনাম করার অভিযোগ ছিল। ১৬ মার্চ কোতোয়ালি থানায় ওই বিজেপি বিধায়ক অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পুলিশ তদন্তে নেমে ফেসবুক থেকে একটা পোস্ট খুঁজে পায়। যে পোস্ট ছেড়েছেন, তাঁকে চিহ্নিত করে। তদন্তে নীরজ কুন্দরের কথা জানা যায়। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্ট সব দেখলে, লোকসভা-রাজ্যসভা কেন আছে, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির
কুন্দরের গ্রেফতারির প্রতিবাদে তাঁর আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব এবং একজন ইউটিউবার ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করেছিলেন। তাঁরা থানার বাইরে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তাঁদের ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫১ ধারায় আটক করা হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, কেন তাদের পোশাক খুলে নেওয়া হল, কে খুলে নিলেন, তাই নিয়ে তদন্ত চলছে। যে এসডিপিওর অধীনে এই থানা, তাঁকেই তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে।
Read story in English