রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে টাইগার রিজার্ভ এলাকায় পিকনিক করার অভিযোগ, তদন্ত শুরু করেছে আধিকারিকরা। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন বনমন্ত্রী বিজয় শাহকে দেখা যাচ্ছে সাতপুরা টাইগার রিজার্ভে পিকনিক করছেন। এই ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শুরু হয় চরম বিতর্ক। অভিযোগ পেয়েই আসরে নেমেছে বনবিভাগ। মধ্যপ্রদেশের মুখ্য বন্যপ্রাণী ওয়ার্ডেন কর্মকর্তাদের বিষয়টির তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনায় একজন বন্যপ্রাণী কর্মী অভিযোগ করেছেন যে বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী শাহ ব্যাঘ্র সংরক্ষণগারে বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকে মেতেছিলেন। সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এই ধরণের কার্যকলাপ একেবারেই বেআইনি।
এর আগে, একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল যেখানে শাহ এবং তার এক বন্ধুকে টাইগার বিজার্ভ এলাকায় পিকনিক করতে দেখা গিয়েছে। ভিডিওতে তাদের মুরগি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী রান্না করতে দেখা গেছে। সংরক্ষিত ব্যাঘ্র সংরক্ষণ এলাকায় এই ধরনের কার্যকলাপ একেবারে অ নিষিদ্ধ। বন্যপ্রাণী এবং আরটিআই কর্মী অজয় দুবে রাজ্যের প্রধান বন্যপ্রাণী ওয়ার্ডেন অসীম শ্রীবাস্তবের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং ঘটনাটিকে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনের চরম লঙ্ঘন হিসাবে অভিহিত করেছেন কারণ এর ফলে এসটিআর-এর ভিতরে বাঘ সহ বন্য প্রাণীদের জীবনকে হুমকির মুখে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন : < আমেরিকার অভিযোগে ভারতের অবস্থান বদল, খালিস্তানি ইস্যুতে ফের সুর চড়ালেন ট্রুডো >
শ্রীবাস্তব নিশ্চিত করেছেন যে এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের (এসটিআর) এটি তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বিজেপি নেতাকে তার বন্ধুর সঙ্গে সংরক্ষিত বন এলাকায় চুটিয়ে পিকনিক উপভোগ করতে দেখা যায়। ভিডিওতে, শাহের বন্ধুকে বলতে শোনা যায় যে এটি একটি চমৎকার জায়গা যেখানে তারা পিকনিক উপভোগ করছেন।প্রধান বন্যপ্রাণী ওয়ার্ডেনের কাছে তার অভিযোগে, দুবে বলেছিলেন যে মূল এলাকায় ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচলের অনুমতি নেই, তবে কীভাবে প্রাক্তন মন্ত্রী নিয়ম লঙ্ঘন করেছিলেন? শাহ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে হারসুদ (এসটি) আসন থেকে ৫৯,৯৯৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন। টানা চতুর্থবারের মতো বিধায়ক হয়েছেন তিনি।