সোমবার সকালে ইন্দোনেশিয় সাগরে ভেঙে পড়া লায়ন এয়ার ফ্লাইটটি চালাচ্ছিলেন এক ভারতীয়, এমনটাই জানা যাচ্ছে। রানওয়ে ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই উধাও হয়ে যাওয়া এই বিমানটি চালাচ্ছিলেন দিল্লির ভাব্য সুনেজা। ১৮৯ জন যাত্রীবোঝাই এই বিমান বিপর্যের পর হতাহতের সংখ্যা ঠিক কত বা আদৌ কেউ বেঁচে রয়েছেন কি না, তা সঠিকভাবে বলতে পারা যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজে নামা হয়েছে।
সুনেজার লিঙ্কড ইন প্রোফাইল অনুযায়ী, তিনি নয়া দিল্লির বাসিন্দা এবং ২০১১ সাল থেকে লায়ন এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যুক্ত। এই সংস্থায় যোগ দেওয়ার আগে তিন মাস এমিরিটাসে ট্রেনি পাইলট হিসাবেও কাজ করেছেন সুনেজা। আরও জানা যাচ্ছে, ২০০৯ সালে Bel Air International থেকে তিনি পাইলটের লাইসেন্স পেয়েছিলেন। এদিকে, লায়ন এয়ারের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সুনেজার ৬ হাজার ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিমানটির সহকারী পাইলটেরও ৫ হাজার ঘণ্টা বিমান চালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
আরও পড়ুন- ১৮৯ জন যাত্রী নিয়ে সমুদ্রে ভেঙে পড়ল ইন্দোনেশিয়ার বিমান
ইন্দোনেশিয়ার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর বেশ কয়েকটি ছবি অনলাইনে প্রকাশ করেছে। সেই ছবিতে ভাঙা স্মার্টফোন, বই, ব্যাগ ইত্যাদি দেখা যাচ্ছে। তবে এই বিমান বিপর্যয়ের কারণ এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি। জাতীয় অনুসন্ধান এবং উদ্ধার সংস্থার সহ-প্রধান নুগ্রহ বুদি উরিয়ান্টো জানিয়েছেন, সেনা, পুলিশ এবং স্থানীয় মত্স্যজীবী-সহ মোট ৩০০ জন এই মুহূর্তে উদ্ধারকার্যে হাত দিয়েছেন এবং এখনও পর্যন্ত কোনও দেহ উদ্ধার হয়নি। তবে কিছু আইডি কার্ড, যাত্রীদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র এবং বিমানের ভাঙা অংশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।
উল্লেখ্য, লায়ন এয়ার ইন্দোনেশিয়ার নবীনতম এবং বৃহত্তম উড়ান সংস্থা। অ্যাভিয়েশন ওয়েবসাইট ফ্লাইটর্যাডার২৪-এর দাবি, দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিমানটি একেবারে নতুন বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ বিমান। চলতি বছর অগস্টের মাঝামাঝি এটি হাতে পায় লায়ন এয়ার। এরপর মাত্র কয়েকদিন হল এই বিমানটি বাণিজ্যিকভাবে উড়তে শুরু করেছিল। আর তারপরই এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। বোয়িং-এর মুখপাত্র পল লুইস জানিয়েছেন, "আমরা পরিস্থিতি খুঁটিয়ে দেখছি", কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
Read full story in English