সীমান্ত থেকে নাগরিকপঞ্জি, সিএএ-এর মতো একাধিক ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়েছে ভারতের উত্তর-পূর্ব প্রান্ত। সেনাবাহিনী মোতায়েন করেই চলছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কাজ। তবে আগামী দু'বছরের মধ্যেই জঙ্গিদমন, সন্ত্রাসদমন এবং অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার দায়িত্বে নিযুক্ত সেনাবাহিনীকে তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে, এমনটাই জানিয়েছেন সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে। সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই দায়িত্ব থেকে সড়িয়ে নেওয়া হয়েছে দুটি ব্যাটেলিয়ান। চলতি বছরের জুন-জুলাই মাসে আসামের বোড়োল্যান্ডে নির্বাচন সমাপ্ত হলেই সেখান থেকে তুলে নেওয়া হবে সেনা 'নজরদারি'।
আরও পড়ুন: ‘মন দিয়ে আবেদন দেখেননি’, রাষ্ট্রপতির আর্জি খারিজ নিয়ে প্রশ্ন তুলল নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত
এ প্রসঙ্গে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জেনারেল নারাভানে বলেন, "এই মুহুর্তে উত্তর-পূর্ব ভারত একটি উত্তরণের মধ্য দিয়ে চলছে। তবে তা ভালোর দিকেই। সম্প্রতি জাতীয় ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অফ বোডোল্যান্ডের (এনডিএফবি) এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর ৬০০ জনের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে উন্নত করা সম্ভব হয়েছে সেখানকার সুরক্ষা পরিস্থিতি। এমতো অবস্থায় সেখানে কীভাবে সুরক্ষার দায়িত্ব থেকে নিয়মিত বাহিনীকে তুলে নেওয়া যায় সে বিষয়ে আমরা আগামী ১৮-২৪ মাসের একটি পরিকল্পনায় কাজ করছি। চিরাচরিত সংকটের দিকে লক্ষ্য রেখেই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা ভাবা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: ২৫ হাজার ‘চাইল্ড পর্ন’ আপলোড হয়েছে পাঁচ মাসে, ভারতকে সতর্ক করল আমেরিকা
তবে কি জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও একইরকম পরিকল্পনা করা হবে? এ প্রশ্নের উত্তরে সেনাপ্রধান নারাভানে বলেন, "আমি আগেই বলেছি যুদ্ধপ্রবণ এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আমাদের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য। জঙ্গিদমন, সন্ত্রাসদমন এবং অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা এগুলি স্বল্পসময়ের এবং তাৎক্ষণিক লক্ষ্য। কখনই আমরা স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্যগুলিতে মনোনিবেশ করতে গিয়ে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য থেকে ভ্রষ্ট হতে পারি না"। পাশাপাশি সেনাপ্রধান এ কথাও স্মরণ করিয়ে দেন যে, তিনি বলেছিলেন যে কেন্দ্র দ্বারা ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল হওয়ার পর একাধিকবার অশান্ত হয়েছে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি)। ৫ আগস্টের পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
Read the full story in English