তোলপাড় ফেলা ঘটনা। পাচার সন্দেহে আটক ৩০৩ ভারতীয় যাত্রী সমেত আস্ত বিমান। জানা গিয়েছে বিমানটি দুবাই থেকে উড়ে নিকারাগুয়ার উদ্দেশে যাচ্ছিল। সেই সময় যান্ত্রিক কারণেই ফ্রান্সে অবতরণ করে বিমানটি। গোপন সূত্রে ফরাসি কর্তৃপক্ষ বিমানটিকে থামিয়ে শুরু করে তল্লাশি। এই ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতার করা হয় ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বিমানের প্রায় সবাই ভারতীয় বংশোদ্ভূত যাত্রী ছিলেন। মোট ৩০৩ জন ভারতীয় ছিলেন নিকারাগুয়াগামী সেই বিমানে। এর পরই ফরাসি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি প্যারিসে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসকে জানায়। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করে। পাশাপাশি বিমানে থাকা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন দূতাবাস কর্মীরা।
ভারতীয় দূতাবাসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টির গভীরে গিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এদিকে সেই বিমানে থাকা যাত্রীদের খেয়ালও রাখা হচ্ছে। এদিকে জানা গিয়েছে, বিমানটি ছিল একটি রোমানিয়ান চার্টার সংস্থার। সমস্ত যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারী সংস্থা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউনিট আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছে। শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ভারতীয় দূতাবাসের দল। দূতাবাস বলছে, যাত্রীদের সুস্থতা ও নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ।
প্যারিসের ১৫০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত ভিট্রি বিমানবন্দরে পার্ক করা হয়েছে বিমানটিকে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিমানটিতে জ্বালানি ভরার কথা ছিল। ফ্রান্সে পৌঁছানোর পর যাত্রীদের প্রথমে বিমানে রাখা হলেও পরে বের করে টার্মিনাল ভবনে পাঠানো হয়। পুরো বিমানবন্দর ঘিরে রেখেছে পুলিশ। আসলে, ফরাসি কর্মকর্তারা তথ্য পেয়েছিলেন যে বিমানটিতে থাকা লোকেরা মানব পাচারের শিকার হতে পারে। এয়ারলাইন্স এখনও এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এদিকে, ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে যে কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন এবং ফরাসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন। ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, 'ফরাসি কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে যে দুবাই থেকে নিকারাগুয়া যাওয়ার একটি ফ্লাইট আটক করা হয়েছে। বিমানে ৩০৩ জন যাত্রী রয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিক। দূতাবাসের দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। যাত্রীদের সুস্থতা ও নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ'।