নেপালে একটি যাত্রীবাহী বিমানে বড় দুর্ঘটনা। কাঠমান্ডু থেকে পোখারাগামী ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটি ভেঙে পড়ে। সেদেশের মিডিয়া সূত্রে দাবি করা হয়েছে বিমানটিতে মোট ৬৮ জন যাত্রী ও চালক সহ ৪ জন বিমানকর্মী ছিলেন।পোখরা বিমানবন্দরের কাছেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জন যাত্রীর। পরে জানা যায়, চালক-সহ ৪ বিমানকর্মীরই মৃত্যু হয়েছে। আগুন লাগতেই দম আটকে দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান সকলেই।
সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, নেপালের পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে নামার ১০ সেকেন্ড বাকি ছিল। ঠিক তার আগেই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। দ্রুতগতিতে নীচের দিকে নামতে শুরু করে ৭২ আসনের যাত্রীবাহী কাঠমান্ডু থেকে পোখরাগামী ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ওই বিমান।
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বরতৌলা কাঠমান্ডু পোস্টকে দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্তের কথাও বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে দুর্ঘটনার মুহূর্তের ছবি পোস্ট করা হয়েছে। ছবি এবং ভিডিওগুলিতে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে যাত্রীবাহী বিমানটি।
পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মকর্তা গুরুদত্ত ঢাকাল সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সকাল ১০টা ৩২ নাগাদ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানটি উড়েছিল। টেক অফের ২০ মিনিট পরই ৩২ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
জানা গিয়েছে বিমানটিতে ৫ জন ভারতীয় যাত্রীও ছিলেন। তথ্য অনুযায়ী, বিমানটিতে ৫৩ জন নেপালি, ৫ ভারতীয়, ৪ জন রাশিয়ান, একজন আইরিশ, ২ কোরিয়ান, ১ আর্জেন্টিনার এবং একজন ফরাসি নাগরিক ছিলেন। দুর্ঘটনার ভয়াবহ ছবি ও ভিডিও সামনে এসেছে। রানওয়েতে দুর্ঘটনায় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়, কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। বিমানটিতে থাকা ৭২ জন যাত্রীর সবাই মারা গেছেন বলেই জানা গেছে।
তবে নেপালের বিমান পরিবহন মন্ত্রক জানিয়েছে দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কামাল দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হয়েছে পাহাড়ে গায়ে ধাক্কা লেগেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। সেক্ষেত্রে সামনে এসেছে যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়টিও। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। নেপাল সেনাবাহিনীর সহায়তায় উদ্ধার কাজ চলছে।