করোনা সংক্রমণের হার এখনও কমেনি। তার মধ্যেই বকরি ঊদের জন্য তিন দিন সাপ্তাহিক লকডাউন শিথিল করেছে বাম শাসিত কেরালা সরকার। যাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই বিরোধীতায় সরব বিজেপি। বিজয়ন সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে চিকিৎসকদের সংগঠন আইএমএ। ফের লকডাউন লাগুর আর্জি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় কেরালা সরকার। ফলে স্বাস্থ্যবিধিকে বিবেচা না করে বকরি ঈদে বিজয়ন সরকারের লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবার মামলা হল সুপ্রিম কোর্টে। আজই এই মামলার শুনানি হতে পারে।
মামলায় কেরালার এলডিএফ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংবাদপত্রে রোজই জানা যাচ্ছে যে রাজ্যে সংক্রমণ কমছে না। এই অবস্থায় কোভিডবিধি না মেনে বকরি ঈদের আগে তিন দিন লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। এমনকী ঈদের দিনেও বিশেষ ছাড় ঘোষণা করা হয়। ব্য়বসায়ীদের অনবড়ত চাপের কাছে নতি স্বীকার করেই মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের এই পদক্ষেপ। কিন্তু করোনাকালে এতে জনস্বাস্থ্য বিপন্ন হতে পারে।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন দিন কয়েক আগেই ঘোষণা করেন যে, বকরি ঈদ উপলক্ষে আগামী ১৮, ১৯ এবং ২০ জুলাই রাজ্যে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। অর্থাৎ রবিবার থেকে পরপর তিনদিন কেরলের সব বাজারঘাট খুলছে। যে সব এলাকায় ট্রিপল লকডাউন আছে, সেখানেও সোমবার দোকানপাট খুলেছে। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে ৪০ জন করে মানুষ ধর্মীয় স্থানে গিয়ে প্রার্থনাও করতে পারবেন।
এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম করোনা প্রভাবিত রাজ্য কেরল। তা সত্ত্বেও সেরাজ্যের বাম সরকার এমন ছাড় কী করে দিতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা অভইষেক মনু সিংভি। । টুইটারে তিনি ক্ষোভ উগরে লেখেন, 'কেরলে বকরি ঈদ উপলক্ষে ৩ দিনের জন্য লকডাউন যেভাবে শিথিল করেছে কেরল সরকার, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বিশেষ করে যখন কেরল করোনার স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। যদি কানোয়ার যাত্রা ভুল হয়, তাহলে বকরি ইদের এই গণ উদযাপনও তাই।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন