'অগ্নিপথ' প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন রাজপথ ছেড়ে ঢুকে পড়েছে আদালতের চৌহদ্দিতে। শীর্ষ আদালতে ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে দুটি আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে একটি আবেদন চেয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করা হোক। এই সিট তদন্ত করুক অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরকারি সম্পত্তির ঠিক কতটা ক্ষতি হয়েছে, তার। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে কেন্দ্র। যাতে এই প্রকল্প সংক্রান্ত কোনও মামলার রায় আন্দোলনকারীদের পক্ষে চলে না-যায়।
গত ১৪ জুন ঘোষিত হয়েছে 'অগ্নিপথ' প্রকল্প। যাতে জানানো হয়েছে, সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের চুক্তিভিত্তিক চাকরিতে নেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ-সহ এই চুক্তিভিত্তিক চাকরির মেয়াদ হবে চার বছর। চুক্তি শেষে ২৫ শতাংশ জওয়ানকে আরও ১৫ বছরের জন্য চাকরিতে নেবে সেনবাহিনী। এই প্রকল্প ঘোষণার সঙ্গেই তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে দেশের যুবশ্রেণির মধ্যে। বিভিন্ন রাজ্যে জ্বলেছে বিক্ষোভের আগুন। তার মধ্যেই সরকার সর্বোচ্চ আবেদনের বয়সসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ করেছে।
আরও পড়ুন- আরবের আকাশে যুদ্ধের ছায়া, ইরানের আশপাশে ইজরায়েলের ঘাঁটি, সাহায্য করছে সুন্নিপ্রধান দেশগুলো
সোমবারই এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে নতুন করে আবেদন জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে। সেই আবেদনে 'অগ্নিপথ' প্রকল্পের পুনর্বিবেচনা চাওয়া হয়েছে। সরকার যাতে প্রকল্পটি পুনর্বিবেচনা করে, সেই নির্দেশ চাওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের কাছে। আবেদনটি জানিয়েছেন আইনজীবী হর্ষ অজয় সিং। সেই আবদনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সামরিক বিভাগের মতামত চাওয়া হয়েছে। প্রাক্তন সেনা আধিকারিকদের মতামত চাওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র ২৫ নয়, বাকি ৭৫ শতাংশ অগ্নিবীরেরও যাতে চাকরি নিশ্চিত হয়, সেই ব্যাপারে সংশোধনীর নির্দেশও চাওয়া হয়েছে আদালতের কাছে।
আবেদনকারীর হয়ে আদালতে আবেদনটি জানিয়েছেন আইনজীবী কুমুদলতা দাস। তিনি এই আবেদন প্রসঙ্গে বলেন, 'এটা দেশের আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্ন। দেশের যুবকদের জন্য আবেদনকারী উদ্বিগ্ন। কারণ, দেশের যুবকদের ভবিষ্যৎ সত্যিই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।' ২৪ জুন থেকে 'অগ্নিবীর' প্রকল্প কার্যকর হওয়ার কথা। চুক্তি শেষে বাকি ৭৫ শতাংশ অগ্নিবীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত দেশবাসী। এনিয়ে ঘোষণার পর থেকেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা, রাজস্থান, পঞ্জাব-সহ বিভিন্ন রাজ্যে।
Read full story in English