মতভেদ ঘিরেই বাড়ছে অসহিষ্ণুতা। অবহেলিত মানুষের জীবন। যার জেরে ব্যাহত হচ্ছে জাতীয় সংহতি। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য মহাত্মার সহিষ্ণুতার বাণী স্মরণের কথা বললেন তিনি।
এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বলেন, 'প্রায় প্রতি মুহূর্তেই ব্যক্তি, শিশু বা মহিলারা আক্রান্ত। ভারতের অন্তরআত্মা আহত হচ্ছে। অসন্তোষের জেরে ছিঁড়ে যাচ্ছে আমাদের সামাজিক বন্ধনের চাবিকাঠি। প্রত্যেকদিন হিংসা বাড়ছে। এর জেরে সমাজে অন্ধকার বাড়ছে। সৃষ্টি হচ্ছে ভয় এবং অবিশ্বাসের বাতাবরণ।' তাঁর মতে, গণতন্ত্রে মতভেদ থাকবে, কিন্তু এক্ষেত্রে হিংসার কারণে বারে বারে বাধা পাচ্ছে স্বাস্থ্যকর গণতন্ত্র।
আরও পড়ুন: রাজ্যের শাসনব্যবস্থা নিয়ে ‘ব্যথিত’ রাজ্যপাল, শিক্ষাবিদ-রাজনীতিবিদ-সমাজকর্মীদের আহ্বান ধনকড়ের
প্রণববাবুর কথায়, 'বহুত্ববাদী গণতন্ত্রে আমরা তর্ক করতে পারি, আমরা একমত হতে পারি, আবার নাও হতে পারি। কিন্তু, ভিন্ন ধারণাকে গুরুত্ব দিতে হবে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বহুত্ববাদই আমাদের গণতন্ত্রকে পোক্ত করেছে। এক জাতিতে উন্নীত হতে সহাতা করেছে।'
আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় অপ্রকাশিত ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ২৫ বিভাগের তথ্য, জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
সমাজ থেকে হিংসার বিষয়টি সরলে দেশের উন্নতি আরও দ্রুত হবে বলে মনে করেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'হিংসামুক্ত সমাজই পারে গণতান্ত্রিক একটি দেশে সকল শ্রেণির মানুষকে থাকার সুযোগ করে দিতে।' বর্তমান সমাজে মানুষের জীবনকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হচ্ছে, অবিশ্বাস ও ঘৃণায় ভরে গিয়েছে দেশ। মনে করেন তিনি। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য জাতির জনক মহাত্মার বাণীর কথা স্মরণ করিয়ে দেন প্রণববাবু।
আগে থেকেই সমাজে বেড়ে চলা অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে সরব প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। ২০১৬ সালে রাষ্ট্রপতি থাকাকালীনই স্বাধীনতা দিবসের দিন সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের উপর অত্যাচারের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছিলেন প্রণববাবু।
Read the full story in English