কেউ সামনে দাঁড়ালেই মোকাবিলা না করেই ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যান মোদী। ভারত জোড়ো যাত্রার মাঝেই কেন্দ্রকে আক্রমণ রাহুল গান্ধীর। চলছে 'ভারত জোড়ো যাত্রা', যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র কৃষক আন্দোলনের জেরে মোদী কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেন। এই প্রসঙ্গ টেনে এনে বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে কেউ দাঁড়ানোর মুহুর্তেই তিনি ঘুরে দাঁড়ান এবং মোকাবিলা না করে ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যান। হরিয়ানার নুহের ঘসেরা গ্রামে ভাষণ দেওয়ার সময়, রাহুল গান্ধী বলেন, যে কংগ্রেসকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করতে হয়েছিল কারণ সংসদে কংগ্রেসের কণ্ঠস্বর দমন করে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়ার কোভিড -১৯ প্রোটোকল অনুসরণ না করার জন্য যাত্রা স্থগিত করার চিঠির উল্লেখ করে রাহুল গান্ধী বলেন, যে এটি যাত্রা বন্ধ করার একটি অজুহাত। তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদী-জির চরিত্রটা বুঝুন। কৃষি আন্দোলন হোক বা জমি অধিগ্রহণ আইন, কেউ তার সামনে দাঁড়ালেই নরেন্দ্র মোদী ঘুরে দাঁড়ান এবং উল্টো দৌড় শুরু করেন। মোকাবিলা না করে ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যাবেন।
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা তাকে পাঁচ থেকে দশ টি প্রশ্ন করেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদীর সংবাদ সম্মলনে সাংবাদিকরা মোদীকে প্রশ্ন করতে পারেন না। তিনি বলেন, “যখন আমরা সংসদে রাফালে, নোটবন্দীকরণ, জিএসটি, দেশের গুরুতর বিষয়গুলি উত্থাপন করার চেষ্টা করি, তখন আমাদের মাইক্রোফোন বন্ধ হয়ে যায়। স্পিকারের মুখটুকু শুধুমাত্র দেখা যায়, এটুকুই। লোকসভায় আমাদের কন্ঠ রোধ করে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছিল, তাই আমাদের এই যাত্রা শুরু করতে হয়েছে। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত আমরা আমাদের যাত্রা চালিয়ে যাব।
মনসুখ মান্ডাভিয়ার চিঠির প্রসঙ্গ তুলে রাহুল গান্ধী বলেন, “যাত্রা কাশ্মীর পর্যন্ত যাবে। এখন বিজেপি যাত্রা বন্ধ করতে নতুন কৌশল নিচ্ছে। আমাকে লিখেছে জানানো হয়েছে কোভিডের কারণে যাত্রা বন্ধ করার কথা! মানে এখন যাত্রা বন্ধের অজুহাত তৈরি করা হচ্ছে। ভারতের শক্তি, ভারতের সত্যকে ভয় পেতে শুরু করেছে বিজেপি। এর আগে ফিরোজপুরে, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন “জনস্বাস্থ্যের গুরুতর বিষয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। যাত্রা বন্ধের করার অজুহাত হিসাবে 'কোভিড' কে ব্যবহার করছে কেন্দ্র'।