পিএম কেয়ার ফান্ড সংবিধানের বাইরে চুক্তিবদ্ধ হতে পারে না। এটি এমন একটি কাঠামো যা জনসাধারণের প্রতি দায়বদ্ধতাকেই দুর্বল করে। মঙ্গলবার এমনই অভিযোগ উঠে এল দিল্লি হাইকোর্টের সামনে। মামলাটি চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিপিন সাঙ্ঘি ও বিচারপতি নবীন চাওলার ডিভিশন বেঞ্চে।
সেখানে অভিযোগকারী সাম্যক গাঙ্গওয়ালের আইনজীবী শ্যাম দিভান বলেন, বাড়ির কর্তা কি বাড়িরই কিছু সদস্যকে নিয়ে ট্রাস্ট গড়তে পারে? আর অনুদান চাইতে পারে? যদি মনেও করি বিষয়টি অত্যন্ত প্রশংসনীয়, তবে সংবিধান কি এই জাতীয় কিছু করার অনুমতি দেয়? বলতে পারে, এটা রাষ্ট্রের কোনও বিষয় নয়? এটা ক্যাগ বা অন্যকিছুর আওতায় পড়বে না?
গাঙ্গওয়াল, এই মামলায় পিএম কেয়ার্সকে সাংবিধানিক কাঠামোর আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। আবেদন করেছেন, যাতে এই তহবিলকে সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদের আওতায় আনা হয়। এই প্রসঙ্গে শ্যাম দিভানের যুক্তি, পিএম কেয়ার্স কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনে এর প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এটা সরকারি সংস্থার মতোই কাজ করে। সরকারি সংস্থার সুযোগ-সুবিধাগুলোই পিএম কেয়ার্স তহবিল ভোগ করে। তাই একে কেন সরকার তহবিল হিসেবে ঘোষণা করা হবে না, এই প্রশ্ন তুলেছেন ওই আইনজীবী।
আরও পড়ুন- ক্ষুব্ধ প্রাক্তন আমলারাও, মোদীকে ‘ঘৃণার রাজনীতি’ বন্ধের অনুরোধ শতাধিক আমলার
এর আগে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার অনুপস্থিতির কারণে মামলাটির মুলতুবি চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু, বিচারপতিরা সেই আবেদন গ্রাহ্য করেননি। এর ফলে পরের দিকে মেহতা শুনানি চলাকালীন ভার্চুয়ালি উপস্থিত হন। পিএম কেয়ার্সকে সরকারি সংস্থা হিসেবে মান্য করার আবেদনের কারণ জানতে চান। একইসঙ্গে তিনি আদালতের কাছে গাঙ্গওয়ালের আবেদনের কারণ যাচাইয়েরও অনুরোধ জানান।
দিভান এই মামলায় গত বছর যুক্তি দিয়েছিলেন যে পিএম কেয়ার্স ইস্যুতে সাংবিধানিক স্বচ্ছতা প্রয়োজন। একে সরকারি তহবিল হিসেবে ঘোষণা করা হোক। কারণ, এটি প্রশাসনের শীর্ষকর্তার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং সরকারই এটি তৈরি করেছে। পিটিশনে গাঙ্গওয়াল অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা ট্রাস্টিদের সঙ্গে মিলে এই পিএম কেয়ার্স গঠন করেছে। কিন্তু, এর ওপর কোনও সরকারি নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই দেশবাসী গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ। জুলাইয়ে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
Read story in English