PM-CARES Fund: পিএম কেয়ারর্স-ফান্ড রাষ্ট্রের সম্পত্তি নয়। ভারতীয় আইনের আওতাধীন একটি দাতব্য সংস্থা। পিএম- কেয়ার্স ফান্ডকে রাষ্ট্রের সম্পত্তি ঘোষণা করা হোক। এই দাবিতে দায়ের মামলার শুনানিতে এমনটা জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। পাশাপাশি আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘রাষ্ট্রের গচ্ছিত তহবিলের অংশ নয় পিএম-কেয়ার্স ফান্ড।‘
এই মামলায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে নোটিশ পাঠিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। সেই নোটিশের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আন্ডার সেক্রেটারি প্রদীপ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, তথ্য জানার আইনে তৃতীয় সংস্থার তথ্য প্রকাশ করার অধিকার নেই।
জানা গিয়েছে, এই ফান্ডের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য প্রধানমন্ত্রী-সহ স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা এবং অর্থমন্ত্রী। তবে এই তহবিলে কোনও সরকারি নিয়ন্ত্রণ নেই। এই তহবিলের স্বচ্ছতা বজায়ে একটি সাম্মনিক পদে রয়েছেন প্রদীপ শ্রীবাস্তব। কেন্দ্রীয় সংস্থা ক্যাগ নির্ধারিত হিসেব পরীক্ষক এই তহবিল অডিট করবেন। এমনটাই দিল্লি হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি পিএমও সূত্রে খবর, অনলাইন, চেক এবন্দ ডিডি-র মাধ্যমে এই তহবিলে অর্থ জমা পড়েছে। আদালতকে এমনটাই জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। এদিকে, পেগাসাসে কড়া সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকার নয়, পেগাসাস-কাণ্ডের তদন্তে সুপ্রিম কোর্টই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গড়ে দিতে পারে। বৃহস্পতিবার এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। এদিন পেগাসাস ইস্যুতে দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, পেগাসাস সফটওয়ার ব্যবহার করে নাগরিকদের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কারণেই আদালতের নজরদারিতে পৃথক একটি কমিটি গড়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহেই এব্যাপারে স্পষ্ট একটি নির্দেশ জারি করতে পারে সর্বোচ্চ আদালত।
পেগাসাস-কাণ্ডে মোদী সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়ল। ইজরায়েলি সফটওয়্যার ব্যবহার করে দেশের একাধিক শীর্ষস্তরের রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাংবাদিক, প্রশাসনিক, সামরিক কর্তার ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সংসদে বিষয়টি নিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন বিরোধীরা। মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে সোচ্চার হয় কংগ্রেস, তৃণমূল থেকে শুরু করে বিজেপি-বিরোধী একাধিক দল। ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে নাগরিকদের উপর নজরদারি চালানো হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের আবেদন জানানো হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন