Advertisment

বাংলাদেশে দীর্ঘতম সেতুর উদ্বোধন, ঢাকার সঙ্গে জুড়ল দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলা

ওই সেতুতে আগামী দিনে রেলপথ তৈরি হলে কলকাতা থেকে ঢাকা যেতে লাগবে মাত্র ৬ ঘণ্টা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
padma bridge bangladesh hasina

বাঙালির গর্বের মুহূর্ত। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একে তিনি দেশের গর্বের প্রতীকও বলেছেন। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক থেকে রেল, সবকিছুর কথা ভেবে তৈরি চার লেনের সেতুটি দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাকে যুক্ত করল। শনিবার মুন্সিগঞ্জ জেলার মাওয়া প্রান্ত থেকে সেতুটির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

Advertisment

তিনি জানান, 'এই সেতু কোনও ইট বা সিমেন্টের স্তূপ না। এই সেতু বাংলাদেশের গর্ব, ক্ষমতা এবং মর্যাদার প্রতীক। তৈরিতে খরচ পড়েছে ৩৬০ কোটি মার্কিন ডলার।' রাষ্ট্রসংঘের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর তালিকায় থাকা বাংলাদেশ এই সেতুর দৌলতে পরিকাঠামোয় অনেকেটাই এগিয়ে গেল। ওই সেতুতে আগামী দিনে রেলপথ তৈরি হলে কলকাতা থেকে ঢাকা যেতে লাগবে মাত্র ৬ ঘণ্টা।

পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'কারও বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই, তবে আমি মনে করি যারা পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন আর এটাকে স্রেফ ‘পাইপ ড্রিম’ বা অবাস্তব কল্পনা বলেছেন, তাঁদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। আমি আশা করি, এই সেতুটি তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলবে। এই সেতুটি শুধু ইট, সিমেন্ট, লোহা এবং কংক্রিটের নয়। এই সেতু আমাদের গর্ব, আমাদের ক্ষমতা, আমাদের শক্তি এবং আমাদের মর্যাদার প্রতীক। এই সেতুটি বাংলাদেশের জনগণের।'

হাসিনা আরও বলেন, 'এই সেতুটি বাংলাদেশের জনগণের। এটি আমাদের আবেগ, সৃজনশীলতা, সাহস, সহনশীলতা এবং অধ্যবসায়ের ফল। বহু প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে ষড়যন্ত্রের জাল ছিঁড়ে উত্তাল পদ্মা নদীর ওপর আমরা এই সেতুটি তৈরি করিয়েছি। আজ আমি দেশের কোটি কোটি মানুষের সাথে আনন্দ অনুভব করছি। গর্ব অনুভব করছি। বলা ভালো, আমি অভিভূত। পদ্মা সেতু প্রকল্পটি রীতিমতো বিস্ময়। যা প্রযুক্তিগত প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে তৈরি হয়েছে।'

আরও পড়ুন- মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের গর্ভপাত রায় লিঙ্গ সমতা বিরোধী, কঠোর সমালোচনা রাষ্ট্রসংঘের

প্রথমে ঠিক হয়েছিল, প্রকল্পটিতে বিশ্বব্যাংক অর্থ দেবে। কিন্তু, ২০১২ সালে বাংলাদেশে আধিকারিকদের

বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে। বাংলাদেশ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করলেও বিশ্বব্যাংকের কাছে আর অর্থের জন্য তদ্বির করেনি। শেষ পর্যন্ত নিজেদের অর্থেই তারা এই সেতু তৈরি করল। বিশাল এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে ভারত। বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন টুইটে জানিয়েছে, 'যুগান্তকারী পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপ্তিতে বাংলাদেশের সরকার ও বাংলাদেশের জনগণকে ভারত অভিনন্দন জানাচ্ছে!'

Read full story in English

Sheikh Hasina padmabridge Bangladesh
Advertisment