Uttar Pradesh: দিন কয়েক আগেই কানপুরের এক সুগন্ধি ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে কোটি-কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। খবরে প্রকাশ, সেই টাকা গুণতে ব্যাঙ্ক থেকে মেশিন আনতে হয়েছিল আয়কর কর্তাদের। ইতিমধ্যে সেই ব্যবসায়ীর সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির যোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি। ভোটমুখী উত্তর প্রদেশে এবার দুর্নীতি খোঁচায় সমাজবাদী পার্টিকে বিঁধতে পিছুপা হলেন না প্রধানমন্ত্রী। কানপুর মেট্রো-সহ একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধনে ফের যোগী রাজ্যে নরেন্দ্র মোদি। সেই অনুষ্ঠানের ফাঁকেই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে হিসাব বহির্ভূত টাকা উদ্ধার নিয়ে সরব হলেন তিনি।
অখিলেশ যাদবের দল তথা সপার নাম না করে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘২০১৭ আগে পর্যন্ত যারা উত্তর প্রদেশে দুর্নীতির গন্ধ ছড়িয়েছে এখন তারা চুপ করে বসে আছে। বাক্সভর্তি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এবার হয়তো তারা বলবে এটাও আমাদের কাজ। কিন্তু এই অর্থ উদ্ধারের পর ওরা এগিয়ে এসে সেই অর্থের মালিকানা দাবি করছে না। এটাই ওদের বাস্তব এবং সাফল্য। এসব কিছু উত্তর প্রদেশের মানুষ দেখছেন এবং বুঝছেন। কারা রাজ্যকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছে, তাঁদের পাশেই মানুষ থাকবেন।‘ এদিন কানপুর আইআইটি-র সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, উত্তরপ্রদেশে ভোটের মুখে ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। বান্ডিল বান্ডিল নোটের পাহাড়ে বসে আয়কর আধিকারিকরা। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। ঘটনার একদিন পরেই কানপুরের ওই ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনকে নিয়ে চাপানউতোর শুরু।যোগীর রাজ্যে শাসকদল বিজেপি এবং বিরোধী সমাজবাদী পার্টি কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে নেমেছে।
সপার ঘাঁটি কনৌজের বাসিন্দা পীযূষ একজন পান মশলা ও সুগন্ধীর ব্যবসায়ী। গত সপ্তাহে তাঁর কানপুরের বাড়ি ও অফিসে হানা দিয়ে তল্লাশি চালায় জিএসটি এবং আয়কর আধিকারিকরা। তারপর টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়। প্রায় ১৫০ কোটি টাকা বেরোয় তল্লাশি চালিয়ে। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
এরপর উত্তরপ্রদেশ বিজেপির মুখপাত্র রাকেশ ত্রিপাঠী একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “এই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সপার ছত্রছায়ায় রয়েছেন। সমাজবাদী পার্টি দুষ্কৃতী, দুর্নীতিগ্রস্তদের কাছ থেকে সাহায্য পায়। বহু মানুষ যাঁদের সপার সঙ্গে যোগ রয়েছে তাঁদের বাড়িতে-অফিসে আয়কর হানা, ইডির তল্লাশি চলছে। কয়েকশো কোটি টাকা উদ্ধার হচ্ছে রোজই। দুর্নীতি করে প্রচুর বেআইনি টাকা কামিয়েছে তারা। নিজেদের সিন্দুক সেই হিসাব বহির্ভূত টাকায় ভরিয়েছে।”
তিনি আরও বলেছেন, “যত নির্বাচন এগিয়ে আসছে, তাঁদের সিন্দুক থেকে টাকা বেরোচ্ছে। কারণ তাঁরা এই টাকা দিয়ে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চায়। ওরা যতই চেষ্টা করুক মানুষের মন জিততে পারবে না কালো টাকা দিয়ে। ওরা আবার হারবে। যোগী আদিত্যনাথ আবার জিতবেন ভোটে।”
পাল্টা তোপ দেগেছেন সপার জাতীয় মুখপাত্র রাজেন্দ্র চৌধুরি। তিনি বলেছেন, “তিনি আমাদের দলের কেউ নন। আমি তাঁকে চিনি না।” প্রাক্তন মন্ত্রী অনুরাগ ভাদোরিয়া টুইট করে বিজেপিকে পাল্টা কটাক্ষ করে বলেছেন, “ডবল ইঞ্জিন সরকারের আমলে ডাকাতি দ্বিগুণ হয়ে গেছে। কানপুরের ব্যবসায়ী বিজেপির অংশ। বিজেপির মন কালো, তাই তারা এসব ব্যবসায়ীর সঙ্গে সমাজবাদী পার্টিকে জুড়ছে। বিজেপির বন্ধুদের সঙ্গে সপার কোনও সম্পর্ক নেই।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন