সুরলোকে ঝড়–ঝাপটা অব্যাহত। সেই ঝড়ে খসে পড়ল আরও এক নক্ষত্র। মাত্র ৬৯ বছর বয়সে চলে গেলেন বাপ্পি লাহিড়ি। মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল সুরকারের।
গত কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ভর্তি হয়েছিলেন মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। সোমবার ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু মঙ্গলবার ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সঙ্গে সঙ্গে ওই হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মাঝরাতে মারা গেলেন বাপ্পি। অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া মৃত্যুর কারণ।
করোনা আক্রান্ত হয়ে গত বছর মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। পরে সেরে উঠলেও বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। করোনার জেরে কন্ঠস্বর হারিয়েছেন বাপ্পিদা, এমন গুজবও রটেছিল। যদিও ছেলে বাপ্পা লাহিড়ি সেই সময় জানিয়েছিলেন, ‘কোভিডের পাশাপাশি বাবার ফুসফুসেরও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। বাবাকে কথা বলতে বারণ করা হয়েছে'।
নভেম্বর মাসে ‘সারেগামাপা’ র মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। শেষবার তিনি প্রকাশ্যে আসেন সলমন খানের 'বিগ বস' ১৫-র মঞ্চে। নাতি স্বস্তিকের গান ‘বাচ্চা পার্টি’র প্রচারে সেখানে পৌঁছেছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া সংগীত জগতে।
বাপি লাহিড়ির মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সারা দেশ। তাঁর মৃত্যতে গভীর শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর। নরেন্দ্র মোদির একটি টুইট বার্তায় লিখেছেন 'বাপি লাহিড়ির সমস্তটা জুড়ে ছিল সঙ্গীত, নানা ধরনের আবেগকে তিনি অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাঁর কাজ মনে রাখবে। প্রাণবন্ত স্বভাবের জন্য তাঁর অভাব বোধ করবে। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত। পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা। ওঁ শান্তি”।
একই সঙ্গে টুইট বার্তায় শোক প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
তিনি টুইটে এক শোক বার্তায় লিখেছেন, “কিংবদন্তি গায়ক এবং সুরকার বাপি লাহিড়ী জীর মৃত্যু সংবাদে আমি শোকাহত। তাঁর মৃত্যু ভারতীয় সংগীত জগতে এক বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। বাপি দা তার বহুমুখী গানের প্রতিভা এবং প্রাণবন্ত প্রকৃতির জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর পরিবার ও ভক্তদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ওম শান্তি”।