ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আরও এক বড় পদক্ষেপের সূচনা হল আজ। তিনটি বড় প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মোদী-হাসিনা। আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল পথের শুভ সূচনা করেন প্রধান মন্ত্রী মোদী ও বাংলা দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দেশের বাণিজ্য, পর্যটন ও জনসংযোগ বাড়াতেই এই রেলপথ চালু করা হয়। এর পাশাপাশি আরও দুটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন ও মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট উদ্বোধন। মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথভাবে তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, "...আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন জোরদার করার জন্য আপনার প্রতিশ্রুতির জন্য আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।"
একই সময়ে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "এটা আনন্দের বিষয় যে আমরা আবারও ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতার সাফল্য উদযাপন করতে একত্রিত হয়েছি। আমাদের সম্পর্ক ক্রমাগত নতুন উচ্চতা ছুঁয়ে চলেছে। আমরা একসঙ্গে যে কাজ করেছি গত ৯ বছরে, এর আগে কয়েক দশকেও তা ঘটেনি।"
বাংলাদেশে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে
বাংলাদেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের জন্য ভারত ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। খুলনা বিভাগের রামপালে অবস্থিত এই প্রকল্পের আওতায় ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) যৌথভাবে এই প্রকল্পটি সম্পন্ন করেছে।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে
উদ্বোধন করা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগের মধ্যে আগরতলা-আখাউড়া ক্রস বর্ডার রেল সংযোগ ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ভারতে ৫ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ১০ কিলোমিটার সম্প্রসারিত। এই রেল সংযোগের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে যা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে। ভারতীয় রেলওয়ে এই প্রকল্পের জন্য বাজাটে ১৫৩.৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করার পাশাপাশি ভারত সরকার প্রকল্পটির জন্য বাংলাদেশকে ৩৯২.৫২ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করেছে।