আসামের ডিব্রুগড় থেকে অরুণাচলপ্রদেশের পাসিঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার লম্বা রেল সেতু উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর বগিবিল সেতু উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদী।
ব্রহ্মপুত্রের জলস্তরের ৩২ মিটার উঁচুতে তৈরি হয়েছে এই সেতু। ভারতীয় রেলের তত্ত্বাবধানে তৈরি এই সেতু কিন্তু এই মুহূর্তে দেশের দীর্ঘতম সেতু। এশিয়ায় দ্বিতীয় দীর্ঘতম। ৪.৯৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। দু’লাইন বিশিষ্ট রেল ট্র্যাক থাকছে তলায়। ওপরে থাকছে তিন লেন বিশিষ্ট রাস্তা।
প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত ভেম্বানাদ রেল সেতু ছিল দেশের দীর্ঘতম সেতু, যার দৈর্ঘ ৪.৬২ কিলোমিটার।
১৯৯৭ সালে এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেবে গৌড়া।সমীক্ষা, মাপজোক, ব্রিজ তৈরি সম্ভব কিনা— সেসব খতিয়ে দেখতেই পাঁচ বছর কেটে যায়। সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়েছে অবশ্য অনেকটা পরে, ২০০২ সালে। ২০১৭-এর জুনের মধ্যে সেতু তৈরির কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। ১২০ বছর লাগাতার পরিষেবা দিতে পারে, এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে বগিবিল সেতু।
বগিবিল সেতু নানা কারণেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। অরুণাচল প্রদেশের সঙ্গে প্রায় ৪০০০ কিলোমিটার চিন সীমান্ত থাকায় ভারতীয় সেনা বাহিনীর কাছে এই সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। ট্রান্স অরুণাচল সড়কের উন্নতির জন্য, বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্রের উত্তর তীরে সড়ক এবং রেল পথে যোগাযোগ বাড়াতে এর বগিবিল ব্রিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে অদূর ভবিষ্যতে।
নির্মাণশৈলী এবং প্রযুক্তিতেও অভিনব বগিবিল দ্বিতল সেতু। যার উপরের তলে চলবে বাস, ট্রাক, লরি সহ যাবতীয় যানবাহন। অর্থাৎ সড়কপথ। তিন লেনের। আবার দৈর্ঘ্যেও এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় দোতলা সেতু এটি।
গুয়াহাটি থেকে দিল্লি পর্যন্ত যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমাবে বগিবিল সেতু। এখন রেল পথে গুয়াহাটি থেকে রাজধানী যেতে সময় লাগে ৩৭ ঘণ্টা। সেতু উদ্বোধন হলে তিন ঘণ্টা কম সময় লাগবে।
Read the full story in English