এক বছর আগে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল দেশ। মোদী বিরোধী সুর তুলেছিলেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। প্রতিবাদীদের দমনপীড়নের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। এক বছর পরে সেই আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়েক শতবর্ষ উদযাপন মঞ্চেই প্রধান অতিথীর আসনে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করিয়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে 'মিনি ভারত' বলে সম্বোধন করেন প্রদানমন্ত্রী।
এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'অনেকেই আমাকে বলেছেন আমুর (আলিদড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়) ক্যামপাস যেন একটি শহর। বিভিন্ন বিভাগ, ডজন খানেক হস্টেল, বহাজারেরও বেশি অধ্যাপক-অধ্যাপিকা নিয়ে আমু যেন এক মিনি ভারত। এখানে যে বৈচিত্র দেখা যায় তা কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, গোটা দেশের শক্তি।'
Speaking at the Aligarh Muslim University. Watch. https://t.co/sNUWDAUHIH
— Narendra Modi (@narendramodi) December 22, 2020
তিনি বলেন, 'আমুর ভবনগুলির সঙ্গে সংযুক্ত শিক্ষার ইতিহাস হল ভারতের মূল্যবান আতিহ্যের নজির। আমি প্রায়শই বিদেশ সফরের গিয়ে আমুর প্রাক্তনীদের সঙ্গে দেখা করি, যারা খুব গর্বের সঙ্গে বলেন যে তাঁরা আমুতে পড়াশোনা করেছেন'। তাঁর সংযোজন, “বিশ্বের যে যেখানেই যান না কেন, আমুর প্রাক্তননীরা ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করেন । গত ১০০ বছর ধরে আমু আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা দিয়ে লক্ষ লক্ষ জীবনকে সমৃদ্ধশালী করেছে। সমাজের জন্য কিছু করার ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের অনুপ্রাণিত করেছে।'
কোভিড মহামারীর আবহে আমুর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। পিএম কেয়ার তহবিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সহয়তারও কতা তুলে ধরেন তিনি। জানান, কঠিন সময়ে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ভূমিকা জাতির প্রতি তাদের দায়বদ্ধতার নজির।
আমুর শতবর্ষের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আরও একবার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ শ্লোগান তুললেন মোদি। বলে দিলেন, ভারত আজ এমন এক রাস্তায় চলছে, যেখানে ধর্মের ভিত্তিতে কোনও বিভেদ নেই। মোদী বললেন, “ভারতের শক্তি, সৌন্দর্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পড়ুদের কাছে তুলে ধরাটা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তব্য। আপনাদের কাঁধে জোড়া দায়িত্ব। নিজেদের সম্মান বাড়ানো এবং দেশের প্রতি নিজেদের কর্তব্য পালন। দেশের সমৃদ্ধির জন্য সব স্তরে উন্নতি হওয়া বাধ্যতামূলক। প্রত্যেক নাগরিকের বিভেদ ভুলে দেশের উন্নতিতে ভাগীদার হওয়া উচিত। দেশ এমন একটা রাস্তায় এগোচ্ছে, যেখানে সব নাগরিক নিজের সাংবিধানিক অধিকার সম্পর্কে নিশ্চিন্ত। আজ শুধু ধর্মের ভিত্তিতে কোনও নাগরিককে বঞ্চিত করা হয় না। এটাই ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ মতবাদের ভিত্তি।”
মুসলিম কন্যাদের স্কুল ছুটের পরিসংখ্যানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে বলেও জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্প ও স্বচ্ছ বারত অভিয়ানের কথা তুলে ধরেন মোদী।
অনুষ্ঠানে আমুর শতবর্য উদয়াপন উপলক্ষে একটি পোস্টাল স্ট্যাম্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন