'২০২৫ সালের মধ্যে ভারত টিবি মুক্ত হবে', 'মন কি বাত'-এ প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন - লক্ষ্য অবশ্যই বড়, কিন্তু তা আমাদের সকলের প্রচেষ্টা পূরণ করতে হবে। আজ ছিল মন কি বাত অনুষ্ঠানের ১০২ তম সম্প্রচার। মন কি বাত অনুষ্ঠানটি মাসের শেষ রবিবারে অনুষ্ঠিত হয় তবে এবার এটি এক সপ্তাহ আগে সম্প্রচারিত হয়েছে।
‘মন কি বাত’ রেডিও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ ছিল অনুষ্ঠানের ১০২ তম সম্প্রচার। মন কি বাত অনুষ্ঠানটি মাসের শেষ রবিবারে অনুষ্ঠিত হয়, তবে এবার ১৮ই জুন সম্প্রচারিত হল মন কি বাত অনুষ্ঠন। আজকের ‘মন কি বাতে’ প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘সাধারণত প্রতি মাসের শেষ রবিবার আপনার কাছে 'মন কি বাত' আসে, কিন্তু এবার তা এক সপ্তাহ আগে সম্প্রচারিত হচ্ছে’।
মোদী আরও বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, আমি আগামী সপ্তাহে আমেরিকায় থাকব এবং মার্কিন সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’। বিপর্যয় ঘুর্ণিঝড়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘দু-তিন দিন আগে আমরা দেখেছি দেশের পশ্চিমাঞ্চলে কত বড় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। প্রবল বাতাস, প্রবল বৃষ্টি। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্র ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে, কিন্তু কচ্ছের মানুষ যে সাহসিকতার সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই করেছেন তা নজিরবিহীন'।
তিনি বলেন, 'এক সময়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে পড়েছিল কচ্ছ। মানুষজন ভেবেছিলেন কখনই কচ্ছ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। আজ এই জেলাই দেশের দ্রুত উন্নয়নশীল জেলাগুলোর একটি। আমি নিশ্চিত যে বিপর্জয় ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ থেকে কচ্ছের মানুষ দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে’।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন বলেন, ‘২০২৫ সালের মধ্যে ভারতকে সম্পুর্ণ ভাবে টিবি দেশ হিসাবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন টি.বি. আক্রান্তকে মানুষ ঘৃণার নজরে দেখতেন। আজকের সময় বদলেছে, আজ টি.বি. রোগীকে পরিবারের সদস্য করে সাহায্য করা হচ্ছে’।
'মন কি বাত'-এর ১০২ তম পর্বে কংগ্রেসকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিন তিনি বলেন, ‘জরুরি অবস্থার অন্ধকার পর্ব কেউ কখনও ভুলতে পারবেন না’। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্যের কথা আসে, অথবা সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে দেশ, ভারতের জনগণের সম্মিলিত শক্তি, প্রতিটি সমস্যা থেকে দেশকে পথ দেখায়। তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী ইন্দিরা গান্ধী সরকারের আমলে দেশে জারি করা জরুরি অবস্থার কথাও স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জরুরি অবস্থার অন্ধকার পর্ব কেউ ভুলতে পারবে না’।