দলের যুবনেতা তথা বিধায়ক জিগনেশ মেভানির গ্রেফতারি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধনা রাহুল গান্ধীর। ''মোদীজি, আপনি রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার করে বিরুদ্ধ-মতকে দমন করার চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু আপনি কখনই সত্যকে বন্দী করে রাখতে পারবেন না।'' টুইট কংগ্রেস নেতার। জিগনেশকে 'অগণতান্ত্রিক' ও 'অসাংবিধানিকভাবে' অসম পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলেও অভিযোগ রাহুলের।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে টুইট করায় বুধবার গভীর রাতে গুজরাতের বিধায়ক জিগনেশ মেভানিকে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশের একটি দল। গুজরাতের পালানপুর থেকে মেভানিকে গ্রেফতারের পর তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে অসম উড়ে যায় পুলিশ। এদিকে এভাবে মেভানির গ্রেফতারিতে বেজায় চটেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বিরুদ্ধে মতকে দমন করার চেষ্টা কেন্দ্রীয় সরকারের, অভিযোগ কংগ্রেস নেতার। এদিন রাহুল গান্ধী বলেন, ''এভাবে মেভানিকে গ্রেফতার করে সাধারণ নাগরিকদেরই অপমান করা হল। তাঁরাই তো ওঁকে প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছিলেন।''
টুইটে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে রাহুল লেখেন, ''মোদীজি, আপনি রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার করে বিরুদ্ধ-মতকে দমন করার চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু আপনি কখনই সত্যকে বন্দী করে রাখতে পারবেন না।'' অসম পুলিশকে ট্যাগ করেছেন রাহুল। এরই পাশাপাশি কংগ্রেসের তরফেও দলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জিগনেশের গ্রেফতারি নিয়ে অসম পুলিশের সমালোচনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- গভীর রাতে সার্কিট হাউস থেকে ধৃত যুবনেতা, গ্রেফতারির কারণ নিয়ে ধন্দ
হিন্দিতে কংগ্রেসের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ''অসম পুলিশ গুজরাতের বিধায়ক জিগনেশ মেভানিকে অগণতান্ত্রিকভাবে আটক করেছে। এটা অসাংবিধানিক একটি পদক্ষেপ। জনগণের অপমান। তাঁকে জনগণই তাঁদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন। কংগ্রেস কর্মীরা নিপীড়নের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবেন।'' কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপালও মেভানির গ্রেফতারিকে বেআইনি এবং অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছেন। বিজেপি স্বেচ্ছাচারিতার রাজনীতি করছে বলে তোপ দেগেছেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা।
টুইটে বিজেপির সমালোচনা করে এদিন ভেনুগোপাল লিখেছেন, ''অসম পুলিশ মাঝরাতে জিগনেশ মেভানিকে গ্রেফতার করেছে। বেআইনি এবং অসাংবিধানিক এই গ্রেফতারি বিজেপির নেতৃত্বে কর্তৃত্ববাদের সর্বশেষ প্রমাণ। একজন জনপ্রতিনিধির এই ধরনের গ্রেফতার হওয়াটা গণতন্ত্রের উপর একটি আঘাত।''
এদিকে, অসম পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জিগনেশের নামে দিন কয়েক আগে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। যদিও তাঁর করা সেই টুইটটি মুছে ফেলা হয়েছে। নাথুরাম গডসেকে নিয়ে টুইটটি করেছিলেন গুজরাতের বিধায়ক জিগনেশ মেভানি।
Read story in English