ইরানি প্রেসিডেন্টের ভেঙে পড়া কপ্টারের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার। প্রেসিডেন্ট রাইসি সহ বিমানে থাকা ৯ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা।
ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট রাইসি যে বিমানে ছিলেন সেটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হলেও রাইসি সহ বিমানে থাকা ৯ জনের কোন সন্ধান মেলেনি। এমন পরিস্থিতিতে আদৌ কী বেঁচে আছন ইরানি প্রেসিডেন্ট এই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
এদিকে ইরানি প্রেসিডেন্টের কপ্টার দুর্ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। মোদী এক ট্যুইট বার্তায় জানিয়েছেন, 'ইরানের কঠিন সময়ে ভারত সেদেশের পাশে রয়েছে'। ইব্রাহিম রাইসির কপ্টার দুর্ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, ইরানের বিদেশমন্ত্রী এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে গতকাল আজ়ারবাইজান সীমান্তের কাছে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয় হেলিকপ্টারটি। ইরানি সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে আজ়ারবাইজান সীমান্তের কাছে পাহাড়ি এলাকায় ভেঙে পড়ে ইরানি প্রেসিডেন্টের কপ্টারটি। এরপর ঘন কুয়াশায় ঘেরা জঙ্গলে শুরু হয় উদ্ধার অভিযান।
এদিকে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির কপ্টারের ধ্বংসাবশেষ আজারবাইজানের পাহাড়ি এলাকায় পাওয়া গেলেও খোঁজ পেলেনি প্রেসিডেন্ট রাইসি সহ নয় সরকারি আধিকারের। প্রেসিডেন্ট রাইসি ও ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানসহ বোর্ডে থাকা নয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের অনুমান।
রবিবার সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কপ্টারটি নিখোঁজ হয়। রাতভর চলে তল্লাশি। এলাকায় প্রবল বৃষ্টি, ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে উদ্ধার অভিযান কিছুটা ব্যাহত হয়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম IRNA জানিয়েছে ১৯ মে সকালে রাইসি আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে একটি সেতু উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন। ফেরার সময় আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী শহরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য ৫০ জন বিশেষজ্ঞ ও দুটি বিশেষ হেলিকপ্টার পাঠানোর কথা জানিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়া ছাড়াও আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, ইরাক, কাতার, সৌদি আরব এবং তুরস্কের পাশাপাশি ইউরোপীয় কমিশন রাইসির হেলিকপ্টার অনুসন্ধানের কাজে সাহায্য করছে।