Advertisment

'ফিরিয়ে আনতে পারবেন ৩৭০ ধারা', মহারাষ্ট্রে প্রচারে বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মোদী

'ক্ষমতায় ফিরলে তারা কি আবার জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রয়োগ করবেন, তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী আইন তুলে দেবেন?' প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
PM Modi

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটেও বিজেপির প্রচারের হাতিয়ার জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ। মহারাষ্টের জলগাঁও-এ প্রচারে গিয়ে এই ইস্যুতেই তোপ দাগলেন বিরোধীদের। প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ, ক্ষমতায় ফিরলে বিরোধিরা উপত্যকায় আবার ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনবে? আর এই বিষয়টি যেন তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারে উল্লেখ থাকে।

Advertisment

রবিবার প্রচারে মোদী বলেন, 'যারা ৩৭০ বাতিল করা হয়েছে বলে যারা কুমিরের কান্না কাঁদছেন তারা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। ক্ষমতায় ফিরলে তারা কি আবার জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রয়োগ করবেন, তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী আইন তুলে দেবেন? দেশবাসী কি তাদের মেনে নেবেন? জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে প্রতিবেশী যা বলছেন, আমাদের বিরোধীদের কথাতেও তারই প্রতিফলন।' ভূস্বর্গে দ্রুত ফের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: নির্বাচনী ইস্তাহারের প্রতিশ্রুতি ও আইনি বিধি

মহারাষ্ট্রে বিজেপি ও শিবসেনা জোট বেঁধে গত পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিল। এবারও ফের জোট বেঁধেই ভোটের ময়দানে এই দুই দল। জলগাঁও-এ প্রচারে বিরোধিদের নিশানা করে মোদী বলেন, 'গত পাঁচ বছরে রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার বয়েছে। বিরোধীরাও তা খুব ভালই বুঝতে পারে। তারা মনে করে এই জোটই রাজ্য চালাবার পক্ষে উপযুক্ত।' এনসিপি নেকতা শরদ পাওয়ারকে কটাক্ষ করেন মোদী। বলেন, 'নিজের দলের কর্মীদের উনি সম্মান করেন না। ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন না জেনে এতটাই ক্ষুব্ধ যে মঞ্চে তাঁপর পাশে ফুল হাতে দাঁড়িয়ে থাকা দলের কর্মীকেই গুতো মারেন। ভাবুন যে দলের লোকের সঙ্গেই এই কাজ করছে সে ক্ষমতায় এলে জনগণের জন্য কী করবেন।'

আরও পড়ুন: রেকারিং ডিপোজিটে সুদের হার কতটা কমাল এসবিআই?

প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাশাপাশি এদিন মহারাষ্টের কোলাপুরে প্রচার চালান বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর কথায়তেও ধরা পরে কাশ্মীর ইস্যু। তিনি বলেন, 'লোকসভায় মানুষ বিজেপিকে জিতিয়েছে। এরপর কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদরে পদক্ষেপ হয়েছে। ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ কাশ্মীর। লোকসভার পর এই প্রথম দেশে বিধানসবা ভোট হচ্ছে। আসা করি মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার মানুষ আবার পদ্মেই ভরসা রাখবেন।'

publive-image সর্ব ভারতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ

মহারাষ্ট্রে যখন প্রধানমন্ত্রী প্রচারে ব্যস্ত তখন হরিয়ান একই কাজ করলেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা। মুখ্য়মন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, 'আগে হরিয়ানাকে মানুষ চিনতো দুর্নীতি ও স্বজন পোষনের রাজ্য বলে। গত পাঁচ বছরে সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। হরিয়ানা এখন দুর্নীতি মুক্ত ও উন্নয়নমুথী এক রাজ্য।'

Read the full story in English

PM Narendra Modi Maharashtra
Advertisment