প্রধানমন্ত্রী মোদী ডিগ্রি মানহানির মামলায় আরও বিপাকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং আপ নেতা সঞ্জয় সিং। বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদের আদালত দুই আপ নেতার সমনের বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। গত এপ্রিল মাসে দুই AAP নেতার প্রেস কনফারেন্সের পরে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পীযূষ প্যাটেল একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
আহমেদাবাদ দায়রা আদালত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিগ্রি সংক্রান্ত একটি ফৌজদারি মানহানির মামলার ক্ষেত্রে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের বিরুদ্ধে জারি করা সমন বাতিল করতে অস্বীকার করেছে। অতিরিক্ত দায়রা জজ জেএম ব্রহ্মভট্টের আদালত দুই AAP নেতার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে দুই আপ নেতার বিরুদ্ধে ১৫ এপ্রিল মামলা দায়ের করার পর ২৩ মে সমন জারি করা হয় দুই আপ নেতার বিরুদ্ধে। এপ্রিল মাসে দুই AAP নেতার প্রেস কনফারেন্সের পরে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পীযূষ প্যাটেল একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এদিন মানহানির মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন না কেজরিওয়াল, আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং।
কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে আগেই দায়ের হয়েছিল মানহানির মামলা। সেই মামলায় আরও অস্বস্তি বাড়ল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর এবং তাঁর দলেরই সাংসদ সঞ্জয় সিংহের। আজ এই মামলার শুনানি চলাকালীন কেজরিওয়ালে আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর ডিগ্রি নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপের সুরে বলেছিলেন,' দেশে এবার একজন শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজন'। একই ধরনের মন্তব্য করেন সঞ্জয় সিংহও। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় আপ পার্টির ২ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।এই মামলায় গত ১৩ জুলাই কেজরিওয়াল এবং সঞ্জয় সিংহকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয় গুজরাতের হাইকোর্ট।
১৫ এপ্রিল এই মানহানির মামলা দায়ের করা হয় এবং তাদেরকে সমন পাঠানো হয় ২৩ মে। আপের ২ নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার পীযূষ প্যাটেল। তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি নিয়ে আপ নেতাদের এই অবমাননাকার মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই মন্তব্য করেন কেজরিওয়াল।