ফোনে উদ্ধব ঠাকরের স্ত্রীয়ের শারীরিক পরিস্থিতি সম্বন্ধে খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৩ মার্চ কোভিড সংক্রমিত হয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী রেশমি ঠাকরে। এর আগে ১১ মার্চ করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন রেশমি ঠাকরে। তারপরেও কীভাবে সংক্রমিত তিনি পরীক্ষা করে দেখছেন চিকিৎসকরা। শিবসেনা সুত্রে খবর, গত সপ্তাহ থেকেই মুম্বইয়ের এইচএন রিলায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উদ্ধব-পত্নী। তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন এবং দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন। এদিন জানিয়েছে শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’।
সেনা সুত্রে দাবি, ‘মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে তাঁর স্ত্রীয়ের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি রেশমি ঠাকরের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন নরেন্দ্র মোদী।‘
এদিকে, দেশে ফের হুড়মুড়িয়ে বাড়ল কোভিড-১৯। ভারতে একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৭২ হাজার ৩৩০ জন। সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে যা রেকর্ড। এর মধ্যেই মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছে ৩৯ হাজার ৫৪৪ জন। যা করোনা দাপটে সর্বকালের সর্বোচ্চ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। ছত্তিশগড়ে, কর্নাটকেও একদিনে আক্রান্ত পেরিয়েছে ৪ হাজারের গণ্ডি।
এদিকে, নির্বাচনী বাংলার অবস্থাও করোনায় তথৈবচ। গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮২ জন। যা গত কয়েকমাসে রেকর্ড। সংক্রমণের হারও এক লাফে বেড়ে ৪ শতাংশ ছাড়িয়ে গেল, যা গত ২৬ ডিসেম্বরের পর এই বছরে প্রথম। বাড়ছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যাও।
বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বুধবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮২ জন। যা গত ১ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ। রাজ্যে মারণ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। দুজনেই কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার বাসিন্দা। ফলে এদিন রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ হাজার ৩২৯ জন।
রাজ্যে করোনা পরীক্ষা বৃদ্ধি পেতেই বেড়েছে বেড়েছে সংক্রমণের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ হাজার ৫৩৭ জনের লালারস পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হল রাজ্যে ৯১ লক্ষ ৭২ হাজার ৫৯৯। বুধবারও কলকাতা (৩৮০) এবং উত্তর ২৪ পরগনা (২১২) সংক্রমণের শীর্ষ স্থানে।
সোমবার রাজ্যে সংক্রমণের হার ছিল ৩.৫৩ শতাংশ। মঙ্গলবার সংক্রমণের হার ৩.৫১ শতাংশ। বুধবার নমুনা পরীক্ষা কিছুটা বাড়লেও, সংক্রমণের হার ৪.১৭ শতাংশ হয়েছে। রাজ্যের মধ্যে করোনার হটস্পট হয়ে উঠছে সেই কলকাতা। চিন্তা বাড়ছে মহানগরে।