Kolkata Durga Puja: দুর্গাপুজোর হাত ধরে বাংলার মুকুটে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। প্রাণের পুজো জায়গা পেয়েছে ইউনেসকোর (UNESCO) হেরিটেজ তালিকায়। আন্তর্জাতিক এই সংস্থা নিজেই ট্যুইটে এই খবর জানিয়েছে। এবার কলকাতার দুর্গাপুজোর এহেন বিশ্ব বন্দনা গর্ব এবং আনন্দের বিষয়। ট্যুইটে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
তাঁর ট্যুইট, ‘প্রত্যেক ভারতীয়ের জন্য গর্ব এবং আনন্দের বিষয়। দুর্গাপূজা আমাদের সাংস্কৃতিক ও আত্মিক বৈশিষ্টের শ্রেষ্ঠ দিকগুলোকে তুলে ধরে। আর, কলকাতার দুর্গাপূজার অভিজ্ঞতা প্রত্যেকের থাকা উচিত।‘ নিজের ট্যুইটের সঙ্গে ইউনেস্কোর ঘোষণার অংশও এদিন জুড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীও ট্যুইট করে এই স্বীকৃতি উদযাপন করেন। তিনি লেখেন, ‘বাংলার জন্য গর্বের মুহূর্ত। সারা বিশ্বের বাঙালিদের কাছে দুর্গাপুজো উৎসবের ঊর্ধ্বে অনেক কিছু। একটা আবেগ, যা প্রত্যেককে বেঁধে রাখে। আর এখন মানবতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় প্রতিনধিত্ব করবে দুর্গাপুজো। আমাদের সকলের জন্য আনন্দের মুহূর্ত।‘
ইন্ডিয়া অ্যাট ইউনেসকো-র টুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে ‘সিটি অফ জয় কলকাতার জন্য আনন্দের উদযাপন! দুর্গাপুজোকে ইউনেসকো’র মানবজীবনের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে৷’ বাংলা ও বাঙালির অন্যতম পরিচয় বলা হয় শারদীয়া উৎসব বা দুর্গাপুজোকে৷ তিলোত্তমা কলকাতার রূপে যেন আলাদা মাত্রা যোগ হয় পুজোর ক’দিনে৷ কলকাতার পুজোর খ্যাতি জগৎজোড়া। শারদীয়া উৎসব বাঙালির অন্যতম পরিচয়। ধর্মের গণ্ডি ছাপিয়ে পুজো যেন উৎসবে পরিণত হয় ওই পাঁচদিন। ঝলমলিয়ে ওঠে তিলোত্তমা, গোটা বাংলা। পুজোকে কেন্দ্র করে আর্থিক লেনদেনও হয় চোখে পড়ার মতো। যা এবার বিশ্ব আসরে সমাদৃত।
প্যারিসে আগামী ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত হবে ইন্টার গভর্নমেন্ট কমিটির ১৬তমঅধিবেশন। সেই অধিবেশনেই ‘কলকাতার দুর্গাপুজো’-কে ইউনেসকোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটির তালিকায় যুক্ত করা হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন