মাত্র এক সপ্তাহের অপেক্ষা! তারপরই আসন্ন গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন। গুঁটি সাজাতে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি, কংগ্রেস, আপ। এবার আসন্ন গুজরাট নির্বাচনকে পাখির চোখ করতে চাইছে বিজেপি। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে আসরে খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদী। আজ ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী চারটি বড় সমাবেশে ভাষণ দেবেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর আজকে মোট চারটি জনসভায় ভাষণ দেবেন। পালনপুর, মোদাসা, দহেগাম ও বাভলায়। প্রধানমন্ত্রীর প্রথম জনসভা ১১ টায় পালনপুরে অনুষ্ঠিত হবে, তারপরে দুপুর ১ টায় দহেগামে সমাবেশে ভাষণ দিতে দেখা যাবে মোদীকে এবং এরপর তিনি পালনপুর এবং বাভলায় সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামবেন।
এদিকে বুধবার, ২৩ নভেম্বর, প্রধানমন্ত্রী, গুজরাটের দাহোদ জেলায় একটি সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “আদিবাসীরা দলের ভাই-বোন। স্বাধীনতার ইতিহাসে আদিবাসীদের বড় অবদান রয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি আদিবাসীদের জীবন বদলে দিয়েছে”।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণ
একই সময় তিনি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং দলকে তীব্র নিশানা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একজন ব্যক্তি ক্ষমতায় ফেরার জন্য পায়ে হেঁটে উপজাতি সম্প্রদায়ের কথা বলছেন। আমি তাদের কাছে জানতে চাই, কেন কংগ্রেস জাতীয় নির্বাচনে বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে সমর্থন করল না? বরং তাদের পরাজিত করতে তাদের প্রার্থী দিয়েছে’। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিজেপিই একমাত্র দল যে উপজাতি সম্প্রদায়ের একজন মহিলাকে রাষ্ট্রপতি বানিয়ে সারা বিশ্বকে বার্তা দিয়েছে’।
কংগ্রেস দেশকে ধ্বংস করেছে - প্রধানমন্ত্রী মোদী
এদিনের ভাষণে মোদী বলেন, ‘কংগ্রেস স্বজনপ্রীতি, জাতপাত, সাম্প্রদায়িকতা এবং ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির মডেল চালায়। গুজরাট সহ গোটা দেশকে তছনছ করেছে কংগ্রেস’। তিনি বলেন, ‘দেশের তরুণ প্রজন্ম এখন ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয় এবং গুজরাটেও তা প্রতিফলিত হবে’।
আগামী ১ ডিসেম্বর প্রথম দফায় গুজরাতের ৮৯টি আসনে ৭৮৮ জন প্রার্থীর ভাগ্যনির্ধারণ হতে চলেছে। ৫ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় রাজ্যের ৯৩টি আসনে ভোট হবে। ফলাফল ঘোষণা হবে ৮ ডিসেম্বর।