শুক্র ও শনি এই দু'দিনের জন্য বাংলাদেশ সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী জানান যে চিন নিয়ে নয়া দিল্লির উদ্বেগ নিরসনেরও চেষ্টা করা হবে। বাংলাদেশ চিনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশ্বাস করে না। বরং "সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী" ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে বেশি আগ্রহী।
এদিকে মোদীর এই সফরের নেপথ্যে হিসেবও কষেছেন ওয়াকিবহাল মহল। বৃহস্পতিবার জারি করা মোদীর সফরসূচি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে সে দেশে মতুয়া মন জয়েরও চেষ্টা করবেন প্রধানমন্ত্রী। মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ির সদস্য তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর থাকতে পারেন নমোর, এমনটাই সূত্রের খবর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে শুক্রবার বাংলাদেশ যাওয়ার আগে মোদী তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি খুশি যে, করোনা অতিমারির পর তাঁর প্রথম বিদেশ সফরটিই হচ্ছে বন্ধু প্রতিবেশি দেশে। শুক্রবার বাংলাদেশের জাতীয় দিবস এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মোদী। ওরাকান্দির মতুয়াসমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, বিবৃতিতে তা-ও জানিয়েছেন মোদী।
এছাড়াও, এনআরসি নিয়েও কথা হতে পারে মোদী-হাসিনার বৈঠকে। যদিও নাগরিকত্ব আইনকে 'ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়' হিসেবেই উল্লেখ করে এসেছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী হাসিনার মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে যে জোর করে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। বরং বলা হয়েছে যাঁদের বাড়ি বাংলাদেশে, অর্থাৎ অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে রয়েছেন যারা তাঁদের ফিরিয়ে নিতে পারবে বঙ্গবন্ধুর দেশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন