'বিস্তারবাদের দিন শেষ। ইতিহাসে প্রমাণিত যে, বিস্তারবাদীরা হয় পরাজিত হয়েছে অথবা সেই মনভাব থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে।' নাম না করেই এদিন লে থেকে চিনকে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর কথায়, 'বীরত্ব শান্তির পূর্বশর্ত, যারা দুর্বল তারা কখনই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে না।'
গত ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ানে নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয় ২০ জন ভারতীয় সেনাকর্মীর। তারপর থেকেই দুই দেশের সীমান্ত ঘিরে উত্তেজনা চরমে। কূটনৈতিক ও সেনা পর্যায়ে আলোচনা চলছে। তার মধ্যেই এদিন লে-তে পৌঁছে যান মোদী। প্রথমেই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত ও সেনা প্রধান এম এম নারাভানেকে নিয়ে ১১ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত নিমুতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। কথা বলেন স্থল সেনা, বায়ু সেনা ও আইটিবিপি জওয়ানদের সঙ্গে। পরে সীমান্ত সংঘর্ষে আহত সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী।
সেনা কর্মীদের মাঝে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ' দেশরক্ষায় সেনারা যে পরাক্রম দেখিয়েছে তাতে গোটা বিশ্বে ভারতের শক্তি প্রমাণিত। সমগ্র ভারতবাসীর সেনার উপর আস্থা রয়েছে। সেনাদের বীরত্বই আত্মনির্ভর ভারত গঠনের সংকল্প আরও দৃঢ় করছে।'
মোদীর কথায়, 'শত্রুরা ভারতীয় সেনার আগুন এবং আক্রোশ দেখেছে। আপনারা যেখানে মোতায়েন আছেন, তার থেকেও আপনাদের সাহস বেশি। দুর্বলরা কোনওদিনই শান্তি রক্ষার উদ্যোগ নিতে পারে না। আপনাদের ইচ্ছাশক্তি হিমালয়ের মত দৃঢ়। গোটা দেশ আপনাদের নিয়ে গর্বিত।' মোদীর এদিনের বার্তায় সেনা কর্মীদের মনবল বৃদ্ধি পাবেই বলে মনে করা হচ্ছে।
সংকটে সবসময় ভারত জয় পেয়েছে। ভবিষ্যতেও সেই জয় মিলবে বলে এদিন সেনাদের সামনে আশাপ্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদী।
এর আগে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে গালওয়ান সংঘর্ষে মৃত সেনা জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেছিলেন, ‘লাদাখের দিকে যারা চোখ তুলে তাকিয়েছিল তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে। ভারত বন্ধুত্ব জানে, কিন্তু আক্রমণ হলে তার জবাবও দিতে পারে। ভারত মাতার ক্ষতি সেনা জওয়ানরা মেনে নেবে না।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Read in English