ডিজিটাল ভারতে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকাকেও পুরোদস্তুর ডিজিটাল সুযোগ সুবিধার আওতায় আনতে স্বামীত্ব প্রকল্পের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের এক লক্ষ মানুষ সম্পত্তি কার্ড পাবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বামীত্ব প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের জমি ও সম্পত্তি অর্থনৈতিক লগ্নী হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে লোন নেওয়া ও অন্যান্য অর্থনৈতিক সুবিধা ভোগ করা সম্ভব। কোনও ব্যাঙ্কই আর গ্রামের বাসিন্দাদের ঋণ দিতে অস্বীকার করতে পারবে না।
মোদী বলেছেন, ‘সম্পত্তি কার্ড হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর মাধ্যমে আত্মনির্ভর ভারতের দিকে আরও একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেওয়া হল।’
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার উপভোক্তার কাছে মেসেজের মাধ্যমে একটি লিঙ্ক পাঠানো হবে। সেই লিঙ্কে ক্লিক করেই নিজেদের প্রপার্টি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন তাঁরা। পরবর্তীকালে বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলি মানুষের হাতে প্রপার্টি কার্ড তুলে দেবে বলে জানানো হয়েছে।
भारत के गांवों के लिए जितना काम पिछले 6 वर्षों में किया गया है, उतना आजादी के छह दशकों में भी नहीं हुआ।
इतिहास बताता है कि गांव और गरीब को अभाव में रखना कुछ लोगों की राजनीति का आधार रहा है। हमने गरीबों को अभाव से मुक्ति का अभियान चलाया है। #SampatiSeSampanta pic.twitter.com/tPeGSTVVBL
— Narendra Modi (@narendramodi) October 11, 2020
এ দিন গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির কাজের দক্ষতা বাড়াতে ও প্রয়োজনীয় তথ্য জোগাতে ‘ই-গ্রামস্বরাজ অ্যাপ’ এবং গ্রামীণ ভারতের জমি-সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত ‘স্বামীত্ব যোজনা’-র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এই উদ্যোগে গ্রামের জমি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত মালিকানা নিয়ে ঝামেলা ঝঞ্ঝাট থাকবে না। ড্রোনের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের জমি ম্যাপিং করা হবে। জিপিএস ম্যাপিংয়ে সম্পত্তির খতিয়ান তৈরি হবে। এর ভিত্তিতেই কোন পরিবারের সম্পত্তি কতটুকু সেটা নির্ধারণ করা হবে। জমি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নথিবদ্ধ থাকবে ডিজিটাল অ্যাপে।
এই দুটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গ্রামীণ পঞ্চায়েতগুলির যাবতীয় তথ্য নথিবদ্ধ থাকবে। পঞ্চায়েতের কাজ কী ভাবে হবে সেই রূপরেখা বাতলে দেবে এই অ্যাপ। কোন কাজে কী অর্থ বরাদ্দ হবে, কোন কাজ কতটা এগোলো, তার খুঁটিনাটি পাওয়া যাবে এই অ্যাপে। ভবিষ্যতে একটাই অ্যাপ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজের সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে। গ্রামবাসীরাও জানতে পারবেন তাদের পঞ্চায়েত কী কী কাজ করছে গ্রামের উন্নতির জন্য। এতে পঞ্চায়েতের কাজের স্বচ্ছতাও বজায় থাকবে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন