অন্তত তিনটি বৈঠক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে। তার মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ এবং আনুষ্ঠানিক নৈশভোজ ও মধ্যাহ্নভোজ ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সৌজন্যে। আর মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের উদ্যোগে খাওয়াদাওয়া, মার্কিন সরকার এই ভাবেই তিন দিন অভ্যর্থনা জানানোর জন্য তৈরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। শাসনকালের ৯ বছরের মাথায় প্রথম মার্কিন সফরে যাচ্ছেন মোদী। আমেরিকাও তাঁর জন্য লাল গালিচা পেতে রেখেছে।
বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াটরা মোদীর মার্কিন সফরকে দুই দেশের সম্পর্কের জন্য মাইলফলক বলে দাবি করেছেন। বলেছেন, "অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই সফর। খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য ইঙ্গিতপূর্ণ।" মোদী এর আগে ৬ বার মার্কিন সফর করেছেন ২০১৪ সালের পর থেকে। এই সফরে দুই দেশ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সমন্বয় এবং উৎপাদনে সমঝোতার বিষয়ে বৈঠক করবে। পাশাপাশি উন্নয়ন এবং সরবরাহ নিয়েও আলোচনা করবে।
মোদী মঙ্গলবার সকালে আমেরিকার উদ্দেশে বিমানে চেপেছেন। পৌঁছবেন রাত দেড়টা নাগাদ। প্রথমে তিনি নিউ ইয়র্কে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে দেখা করবেন ২১ জুন।
আরও পড়ুন ‘মণিপুরে আগুন নেভাতে গোমূত্র’? ‘আক্রমণাত্মক’ উদ্ধবের বেনজির আক্রমণ
সেখান থেকে ওয়াশিংটন ডিসি-তে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের সঙ্গে ব্যক্তিগত সৌজন্য সাক্ষাৎ রয়েছে তাঁর। ২২ জুন প্রধানমন্ত্রী হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের সৌজন্য নৈশভোজে যোগ দেবেন মোদী।
শুক্রবার মোদী বেশ কয়েকটি বহুজাতিক সংস্থার সিইও-দের সঙ্গে দেখা করবেন। পরে ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করবেন। ওইদিনই ইন্দো-মার্কিন কমিউনিটির নেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রিগ্যান সেন্টারে।