করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে তিন সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যাকে কঠোর পদক্ষেপ হিসাবেই এদিন মন কি বাতে বর্ণনা করলেন তিনি। এমন কঠোর পদক্ষেপের জন্য ক্ষমাও চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, 'আমি জানি এই লকডাউনের ফলে মানুষের অনেক সমস্যা-দুর্ভোগ হচ্ছে। তার জন্য আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।'
প্রধানমন্ত্রী জানান, করোনা মোকাবিলায় লকডাউনই একমাত্র পথ। ভারতজুড়েই দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষ লকডাউন অগ্রাহ্য করছেন। আগেই তা নিয়ে টুইটে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন ফের একবার দেশবাসীকে লকডাউন মেনে চলার আর্জি জানান তিনি। বলেন, 'বেশ কিছু মানুষ নিয়ম ভেঙে সমাজের ক্ষতি করছেন। লকডাউন ভাঙলে করোনা থেকে বাঁচা মুশকিল।' অসুবিধায় সত্ত্বেও প্রত্যেক দেশবাসীকে লকডাউন মেনে চলার আবেদন জানান মোদী।
মারণ ভাইরাস থেকে বেঁচে ফেরা সুস্থ বেশ কয়েক জনের সঙ্গে এদিন কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এরকমই একজন রামাগামাপা তেজা। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, প্রথমদিকে তিনি ভীত ছিলেন। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সদের সহয়তায় মনের জোর বাড়িয়েছেন। জানান, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও নিয়ম মেনে হাত পরিস্কার করেন তিনি। আগ্রার অশোক কাপুরের পুরো পরিবারই করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। বর্তমানে সবাই সুস্থ। করোনা আক্রমণের পরে ডাক্তারদের সহায়তায় কীভাবে সুস্থ হলেন সেই গল্পই এদিন প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন অশোক কাপুর।
আরও পড়ুন: Live: ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭৯, মৃত ২৫
এই পরিস্থিতি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। মন কি বাতে দিল্লি ও পুনের দুই চিকিৎসকের সঙ্গেও কথা বলেন মোদী। শোনেন কীভাবে রোগীদের সেবা করছেন চিকিৎসকরা। এরপরই প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'চিকিৎসকদের আত্মত্যাগ আমাকে প্রাচীন হিন্দু প্রবাদ মনে করিয়ে দেয় বারবার। যেখানে বলে হয়েছে, 'আর্থিক স্বার্থ ব্যতীত রোগীদের সেবা যেসব চিকিৎসক করেন তাঁরাই হলেন প্রকৃত ডাক্তার।' এদিন নিকাশী কর্মী সহ অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদেরও বাহবা দেন মোদী।
নিজে বিশেষজ্ঞ না হলেও কোরায়ন্টাইনে সুস্থ থাকতে কয়েকটি ভিডিও আপলোড করবেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
Read the full story in English