কোয়ালকমের সিইও-র সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: ট্যুইটার/পিএমও
PM Modi US Visit: চার দিনের মার্কিন সফরের প্রথম দিনেই বহুজাতিক সংস্থার কর্ণধারদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে বিনিয়োগ টানার লক্ষেই তাঁর এই উদ্যোগ। এমনটাই পিএমও সূত্রে খবর। একাধিক কর্মসূচি নিয়ে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন নেমেছেন নরেন্দ্র মোদি। বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন ইন্দো-মার্কিন প্রবাসী ভারতীয়দের একটা সংগঠন। পরে তাঁদের সঙ্গেই রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরে বেলার দিকে (মার্কিন সময়ে) অ্যাডব, কোয়ালকম, জেনারেল অ্যাটমিক, ফার্স্ট সোলার এবং ব্ল্যাক স্টোন সংস্থার সিইওদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এদিন বিকেলের দিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গেও বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। দুই বছর পর এটাই হবে প্রধানমন্ত্রীর কোনও গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক।
Advertisment
Powering 🇮🇳’s Solar Potential! PM @narendramodi discusses India’s renewable energy landscape with Mark Widmar, CEO @FirstSolar. CEO shared plans to use PLI scheme for manufacturing solar power equipment with unique thin-film technology;& integrating 🇮🇳 into global supply chains. pic.twitter.com/q6BpmrQUYt
তাঁর সূচিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়েশোহিদে সুগার সঙ্গেও বৈঠক রয়েছে।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে জো বাইডেন। প্রায় দুই বছর পর মঙ্গলবার বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী। ২৩-২৬ সেপ্টেম্বর মার্কিন মুলুকে রয়েছে তাঁর একাধিক কর্মসূচি। ২৪ সেপ্টেম্বর কোয়াড বৈঠকের ফাঁকে মোদি-বাইডেন বৈঠকের সম্ভাবনা। সন্ত্রাসবাদ দমন এবং মৌলবাদ প্রতিরোধে দুই রাষ্ট্র নেতার আলোচনার সম্ভাবনা। মঙ্গলবার এমন দাবি করেন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
Advertisment
বৈঠকের ফাঁকে অ্যাডবের সিইও-র সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় প্রধানমন্ত্রীর। ছবি: পিএমও
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনার সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা এবং বাণিজ্য স্বার্থ একবার ঝালিয়ে নিতে চায় দিল্লি এবং ওয়াশিংটন। শ্রিংলা জানান, ‘সন্ত্রাসবাদ দমন, দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠকের ইস্যু হতে চলেছে।‘ ইন্দো-ইউএস সম্পর্ককে আরও কীভাবে এগিয়ে নিয়ে মজবুত করা সম্ভব। সে বিষয়েও আলোচনা করতে পারেন মোদি এবং বাইডেন। এমনটাই সূত্রের খবর।
এদিকে, এই সফরে ওয়াশিংটনের সঙ্গে নিউ ইয়র্ক সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে শেষবার বিদেশ সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে সেই সফর। এরপর বিশ্বব্যাপী করোনার থাবা, একাধিক ঢেউয়ে মানুষের মৃত্যু, এদেশে কেন্দ্রীয় লকডাউন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ, গণটিকাকরণ। একাধিক কারণে বিদেশ সফর স্থগিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন