রুশ আক্রমণের পর প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করলেন। উপলক্ষ, জাপানের হিরোশিমায় জি-৭ সম্মেলন। তাঁর প্রথম ব্যক্তিগত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শনিবার এই সম্মেলনের ফাঁকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে আশ্বস্ত করেছেন যে, রুশ আক্রমণের পর রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যে সংঘর্ষ চলছে, তা মেটানোর জন্য ভারত যা করতে পারে, তা করবে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'ইউক্রেনের যুদ্ধ বিশ্বজুড়ে একটি বড় সমস্যা। এটা আমার কাছে শুধু এক অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক সমস্যা না। এটি একটি মানবিক বিষয়। যা দ্রুত সমাধানের জন্য ভারত এবং ব্যক্তিগতভাবে আমি যা করতে পারি, তা করব।' প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে মোদীর বৈঠকের ছবি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় শেয়ার করেছে। বৈঠকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান। তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে আলিঙ্গন করেন। আগামী মাসে মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন। তার আগে এই বৈঠককে কেন্দ্র করে দুই নেতার মধ্যে সংক্ষিপ্ত কথোপকথনও হয়।
শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হিরোশিমায় পৌঁছন। তাঁর তিন দেশের সফরের প্রথম পর্বে প্রধানমন্ত্রী জি-৭ গ্রুপের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। এই সফরের পর প্রধানমন্ত্রী পাপুয়া নিউ গিনি ও অস্ট্রেলিয়াতেও যাবেন। রাষ্ট্রগুলোর শক্তিশালী জোট জি-৭ এর বর্তমান চেয়ারম্যান জাপানের আমন্ত্রণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- আচমকা ২,০০০ টাকার নোট কেন বাতিল হচ্ছে?
জাপানের সংবাদপত্র ইয়োমিউরি শিমবুনকে মোদী একটি সাক্ষাত্কারও দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সেই সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণ সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। একইসঙ্গে, রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাবে ভারতের ভোটদানে বিরত থাকা এবং রাশিয়া থেকে ভারত কীভাবে তেল আমদানি বাড়িয়েছে, সেই ব্যাপারেও জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। জবাবে মোদী জানিয়েছেন, ভারত চায় আলোচনার মধ্যে দিয়ে সমস্যাগুলোর সমাধান হোক। কারণ, এই যুদ্ধের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ক্রমশ বাড়ছে। যার প্রভাব পড়ছে জিনিসপত্রের দামে। সাধারণ মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এক্ষেত্রে মানুষের মঙ্গলকে অগ্রাধিকার দিয়েই ভারত শান্তি চায়।